স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, অনেকে বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে বানোয়াট কথা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা গণমাধ্যমের গলা চেপে ধরিনি। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আছে। কাউকে রক্তচক্ষু দেখাইনি।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কুইন্স প্যালেস আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। বুধবার (৩১ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হাওয়া ভবনসহ সকল ষডযন্ত্রকারীদের মুখোশ আজ উন্মোচিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সকল বাধা উপেক্ষা করে বাংলাদেশকে আজ বিশ্বের বুকে মর্যাদাশালী দেশে পরিণত করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমি ষড়যন্ত্র বিশ্বাস করি না, পেশী শক্তি বিশ্বাস করি না। তাই তিনি পার্লামেন্টকে শক্তিশালী করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, সরকারকে উৎখাতের সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলার মানুষ সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে চলেছে। সন্ত্রাস দমনে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। সুন্দরবনের বনদস্যু আত্মসমর্পণ করেছে। বানোয়াট কথা, মিথ্যা কথা দিয়ে বিদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা মিডিয়ার গলা চেপে ধরিনি। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করা হয়নি। কাউকে রক্তচক্ষু দেখাইনি।
প্রবাসীদের অবদানকে স্বীকার করে তিনি বলেন, তাদের কল্যাণে সরকার কাজ করছে। বিনিয়োগ বাড়াতে কাজ করেছে। ৩ হাজার ডলারের আয় সূচকে আমরা চলে এসেছি। দক্ষিণ এশিয়ায় কোভিড মোকাবিলায় বাংলাদেশ প্রথম। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বর্তমানে সারাবিশ্ব সংকটে আছে। আমাদের যতটুকু সংকট রয়েছে তা মোকাবিলার সব প্রচেষ্টা এবং সামর্থ্য আছে।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার কন্যা কখনোই প্রবাসীদের অবদান ভুলে যাননি। জাতির পিতার সোনার বাংলা বিনির্মাণে আমরা কাজ করছি। হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ ও খৃষ্টান সকলে মিলে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়ন করেছেন।
এসময় তিনি বাংলাদেশের পুলিশকে জনবান্ধব পুলিশ বলে মন্তব্য করে বলেন, করোনার সময় তারা ফ্রন্ট লাইনে কাজ করছে ও জীবন উৎসর্গ করেছে।