বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরে ঢাকা পর্বে চার ম্যাচ খেলেছে মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্স। সবকটিতেই জিতেছে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। চার ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছেন তৌহিদ হৃদয়। তিনটিতেই ফিফটি পেয়েছেন অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপজয়ী বাংলাদেশ দলের এ সদস্য।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা ডমিনেটরসকে ৬২ রানে হারিয়েছে সিলেট। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ২০১ রানের বড় সংগ্রহ পায় সিলেট। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার খেলে সব উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রানের বেশি করতে পারেনি ঢাকা।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলেই উদ্বোধনী ব্যাটার মোহাম্মদ হারিসকে হারায় সিলেট। ৬ বলে ৬ রান করে তাসকিন আহমেদের বলে আউট হন তিনি। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে দারুণ জুটি গড়েন তৌহিদ হৃদয়। ৫৭ বলে ৮৮ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন এই দুই ব্যাটার। ঝড়ো ব্যাট করতে থাকা শান্ত ৩৬ বলে পূর্ণ করেন অর্ধশতক। কিছুক্ষণ পরেই উইকেটের পেছনে খেলতে গিয়ে শেহজাদের হাতে ক্যাচ তুলে ৫৭ রানে বিদায় নেন তিনি।
শান্ত বিদায় নিলেও লড়াই করতে থাকেন হৃদয়। ৩২ বলে পূর্ণ করে অর্ধশতক। তাকে সঙ্গ দিতে এসে একে একে বিদায় নেন জাকির হাসান (১০), মুশফিকুর রহিম (৬), থিসারা পেরেরা (১১) ও ইমাদ ওয়াসিম (১)। দারুণ ব্যাট করতে থাকা হৃদয়ের ইনিংস থামে ৮৪ রানে। আল আমিনের বলে উইকেট হারানোর আগে ৪৬ বলে তিনি এই ইনিংস সাজান ৫ ছক্কা ও ৫ চারে। শেষদিকে আকবর আলীর ৬ ও মাশরাফির অপরাজিত ৭ রানে বড় সংগ্রহ পায় সিলেট।
ঢাকা ডমিনেটর্সের হয়ে ৪ ওভারে ৪৫ রান খরচায় ৩ উইকেট তুলে নেন আল আমিন। জোড়া উইকেট পান তাসকিন আহমেদ। একটি করে উইকেট শিকার করেন আরিফুল হক ও আরাফাত সানি।
জবাব দিতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উদ্বোধনী ব্যাটার আহমেদ শেহজাদকে হারায় ঢাকা। ৩ বল খেলে কোনো রান না করেই সাজঘরে ফেরত যান তিনি। পরের ওভারে আরেক ওপেনার দিলশান মুনাবিরাও আউট হয়ে যান। ১ চার ও ছক্কায় ১২ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি।
দলীয় ৩০ রানের সময় সাজঘরে ফেরত যান সৌম্য সরকার। ৯ বল খেলে ৬ রান করে তিনি আউট হন মাশরাফি বিন মুর্তজার বলে। এই ব্যাটার সাজঘরে ফেরার পর অধিনায়ক নাসির হোসেনের সঙ্গে ৭৭ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ মিথুন। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২৮ বলে ৪২ রান করে মিথুন ফিরলে এই জুটি ভেঙে যায়।
৫ চার ও ১ ছক্কায় ৩৫ বলে ৪৪ রান করে রেজাউর রহমান রাজার বলে আউট হয়ে যান নাসির হোসেনও। এরপর দ্রুতই অলআউট হয়ে যায় ঢাকা। দুই উইকেট করে নেন ইমাদ ওয়াসিম, মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মোহাম্মদ আমির।