অ্যান্টিগা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে লড়াইটাও করতে পারল না বাংলাদেশ। হারের মঞ্চ চতুর্থ দিনের শেষবেলাতেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল। শেষদিনে সে ‘আনুষ্ঠানিকতা’ সম্পন্ন হতে এক ঘণ্টা সময়ও প্রয়োজন হয়নি। ৩৩৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩২ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। এতে ২০১ রানের হারে ক্যারিবিয়ান সফর শুরু হলো বাংলাদেশ।
নর্থ সাউন্ডের ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে টস জিতে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। আর প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেই একপ্রকার জয়ের ভিত রচনা করে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
জাস্টিন গ্রিভসের সেঞ্চুরি (১১৫*) এবং মিকাইল লুইস (৯৭) ও অ্যালিক অ্যাথানাজের (৯০) ইনিংস দুটিতে ভর করে প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটে ৪৫০ রানের পাহাড় গড়ে ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের দল।
জবাবে দিতে নেমে নড়বড়ে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ। জাকের আলী (৫৩) এবং মুমিনুল হকের (৫০) ফিফটির পরও উইন্ডিজের রানের ধারেকাছেও যেতে পারেনি সফরকারীরা। উল্টো ৯ উইকেটে ২৬৯ রানে হঠাৎ ইনিংস ঘোষণা করে দেয় বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামার আগেই ১৮১ রানের লিড পেয়ে যায় উইন্ডিজ। তবে এ যাত্রায় তাসকিন আহমেদের আগুনে বোলিংয়ে অস্বস্তিতে পড়ে স্বাগতিকরা। তাসকিন ৬৪ রান খরচায় ৬ উইকেট তুলে নিলে এ যাত্রায় ১৫২ রানে অলআউট হয়ে যায় দলটি।
তবু বাংলাদেশের জন্য ৩৩৪ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করাতে সক্ষম হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর সে রান তাড়া করতে নেমে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল বাংলাদেশের ব্যাটিং। কেমার রোচ-জেডেন সিলসদের গতিতে খাবি খাওয়া বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ১৩২ রানের বেশি তুলতে পারেনি।
রোচ এবং সিলস দ্বিতীয় ইনিংসে সমান তিনটি কর উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন।
আগামী ৩০ নভেম্বর সেন্ট কিটস এবং নেভিসে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।