বাংলা সাহিত্যের প্রতিটি শাখায় অসামান্য অবদান রাখা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১২৬৮ বাংলা সনের ২৫ বৈশাখ (ইংরেজি ১৮৬১ সালের ৭ মে) পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মা সারদাসুন্দরী দেবী। বাংলা ১৩৪৮ সনের ২২ শ্রাবণ কলকাতায় পৈতৃক বাসভবনে ইহলোক ত্যাগ করেন তিনি।
জীবনের বড় একটা সময় কাটিয়েছেন শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে। জমিদারি সূত্রে কুষ্টিয়ায় পদার্পন হলেও পূর্ববঙ্গের জল-হাওয়ায় রবীন্দ্রনাথ বেড়ে উঠেছিলেন।
পদ্মা-গড়াই তীরবর্তী মানুষের জীবন উপজীব্য করেছেন তার লেখায়। একাধারে কবি, গল্পকার, সুরকার, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার, চিত্রকর ও ঔপন্যাসিক। তবে সব ছাপিয়ে হয়ে ওঠেস- বিশ্বকবি। ঋতুভিত্তিক গান আর বিষয়ভিত্তিক রচনা তাকে করেছে স্বতন্ত্র। দুই হাজার ২৩০ টি গানে, জীবনের প্রায় প্রতিটি অনুভূতিই প্রকাশ করে গেছেন রবীন্দ্রনাথ। তাই আজও যে কোন উপলক্ষ্যে ভীষণ প্রাসঙ্গিক তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ও শিক্ষক আজিজুর রহমান তুহিন বলেন, আমরা যখন এই ভূখণ্ডটিকে স্বাধীন বাংলাদেশ হিসেবে পেলাম, সেটির পেছনে যে সাংস্কৃতিক আন্দোলন ছিল, সেই প্রেক্ষাপটে রবীন্দ্রনাথ একটি বড় নাম। তার লেখা নিয়েই আমাদের আন্দোলন এগিয়েছে।
৫২টি কাব্যগ্রন্থে ছন্দ আর গীতিকবিতা হয়েছে মলাটবন্দি। শতাব্দী পেরিয়ে ৩৮ টি নাটক, ১৩ টি উপন্যাস, ৩৬ টি প্রবন্ধ আর ৯৫ টি ছোটগল্প সমান জনপ্রিয় বিশ্ব দরবারে। শেষের দিকে উপহার দিয়েছেন আসামন্য সব চিত্রকর্ম। বাঙালির সৃষ্টিশীলতা আর মানস গঠনে বড় ভূমিকা রবীন্দ্রনাথের।