ইন্দোরে ভারতের বিপক্ষেপ পেরে উঠল না অস্ট্রেলিয়া। বড় ব্যবধানের পরাজয়ে হেরে বিশ্বকাপের আগে সিরিজ হারল তারা ভারতের কাছে। ঘরের মাঠে ভারতীয় দল যে ভয়ঙ্কর, সেটা আরও একবার প্রমাণিত।
রবিবার ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারত প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে ৫ উইকেটে করেছিল ৩৯৯ রান। জবাবে অস্ট্রেলিয়া করতে পেরেছে ২১৭ রান। এ ম্যাচে ভারতের ব্যাটারদের পাশাপাশি বোলারদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ান ডে বিশ্বকাপের আগে অজিদের ৯৯ রানে হার তাদের মনোবলে ধাক্কা দেবে।
বৃষ্টির কারণে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩২ ওভারে ৩১৭ রান। যথেষ্ট কঠিন চ্যালেঞ্জ। তখনই বোঝা গিয়েছিল কামিন্সহীন অজিদের কাছে বড় হার অপেক্ষা করে রয়েছে। তাই হলো শেষমেশ। বড় রানের চাপে দিশেহারা হয়ে গিয়েছে স্টিভ স্মিথের দল।
অস্ট্রেলিয়ার একটা সময় ১০১ রানে পাঁচ উইকেট পড়ে যায়। প্রথমে বুমরাহর পরিবর্তে মাঠে নামা প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা আউট করেন ওপেনার ম্যাথু শর্ট (৯) ও অধিনায়ক স্মিথকে (০)। নয় রানে দুই উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে দলের হাল ধরেন ডেভিড ওয়ার্নার (৩৯ বলে ৫৩)। না হলে বাকিরা ভারতের স্পিন আতঙ্কে উইকেট দিয়ে চলে গিয়েছেন।
অশ্বিন দেখালেন তিনি এখনও যে কোনোদিন সেরা বোলার হওয়ার ক্ষমতা রাখেন। তিনি উইকেট তুলে নিয়েছেন পাঁচ ওভার হাত ঘুরিয়েই। এমনকি রবীন্দ্র জাদেজা দুই উইকেট নেন প্রথম স্পেলে ৪২ রানে।
লাবুশানেকে যেভাবে বোল্ড করেছেন অশ্বিন, সেটি দিনের সেরা ডেলিভারি। যদিও এটাও ঠিক, ভারতের বোলারদের বেধড়ক মেরেছেন জস হ্যাজেলউড ও শিন অ্যাবট। এই জুটি দেখিয়ে দিয়েছে, এই পিচে দ্বিতীয় ইনিংসে আদৌ কোনও জুজু ছিল না। তারা যেভাবে ছয় ও চারের মেলা বসিয়েছিলেন, কোচ দ্রাবিড়কে চিন্তায় রেখেছিল।
শেষবেলায় এই জুটিকে থামালেন মহম্মদ শামি, তিনি ২৩ রানে বোল্ড করলেন হ্যাজেলউডকে। শিন অ্যাবটকে স্পিনে ঘায়েল করলেন জাদেজা। তিনি তিনটি উইকেট নিলেন অশ্বিনের মতোই। অজিদের দলের পক্ষে আট নম্বরে নেমে অ্যাবটের লড়াই মনে রাখবেন ইন্দোরের দর্শক। তিনি করলেন ৩৬ বলে ৫৪ রান, যার মধ্যে রয়েছে পাঁচটি ছক্কা ও চারটি বাউন্ডারি। হ্যাজেলউডের ইনিংসে রয়েছে দুটি ওভার বাউন্ডারি ও দুটি চার।