আন্তর্জাতিক বাজারে শুক্রবারও (২৩ জুন) তেলের দাম কমেছে। এ নিয়ে টানা দুই দিন জ্বালানি পণ্যটির দর কমলো।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, সম্প্রতি সুদের হার বাড়িয়েছে যুক্তরাজ্য। তাতে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে অপরিশোধিত তেলের মজুত কমেছে। পাশাপাশি সরবরাহ কমার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে তেলের দর হ্রাস পেয়েছে।
সম্প্রতি ৫০ বেসিস পয়েন্ট সুদহার বৃদ্ধি করেছে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড (বিওই)। নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকও তা বাড়িয়েছে। এরপর বৃহস্পতিবার উভয় বেঞ্চমার্কের মূল্য ৩ ডলার নিম্নমুখী হয়েছে। আর এদিন আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত ব্রেন্টের দাম কমেছে ৫৯ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ। প্রতি ব্যারেলের মূল্য স্থির হয়েছে ৭৩ ডলার ৫৫ সেন্টে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দর নিম্নমুখী হয়েছে ৭০ সেন্ট বা ১ শতাংশ। ব্যারেলপ্রতি মূল্য নিষ্পত্তি হয়েছে ৬৮ ডলার ৮১ সেন্টে।
পিভিএমের অয়েল ব্রোকার থমাস ভার্গা বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সুদের হার বাড়ানোর পর তেলের বাজারে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। মন্দার আশঙ্কায় বিভিন্ন অর্থনৈতিক পদক্ষেপগুলো আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। ফলে জ্বালানি পণ্যটির দরপতন ঘটছে।
সুদের হার বাড়ায় ঋণের খরচ বেড়ে যাবে। এতে সমস্যায় পড়বেন ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা। ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে যাবে। তাতে বছরের বাকি সময় তেলের চাহিদা কম থাকবে।