কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে গুরুতর আহত ইতালি প্রবাসী নাজমুল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)।
সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে রেখে দুই দিন পরেই কর্মস্থলে ফেরার কথা ছিল তার। কিন্তু তার আগেই বৃহস্পতিবার সকালে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মাত্র তিনমাস আগে বিয়ে করেছেন নাজমুল।
বুধবার (৩ মার্চ) রাতে ঢাকার রিমেডি কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সকাল ১১টায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
জানা যায়, মঙ্গলবার (১ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টায় উপজেলার কালিকাপ্রাসাদ ইউনিয়নের গাজিরটেক এলাকায় ভৈরব ময়মনসিংহ আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন নাজমুল। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নাজমুলসহ দুজন গুরুতর আহত হয়। পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নাজমুলকে ঢাকার রেমেডি কেয়ার হাসপাতালে এবং তার বন্ধু জোবায়েরকে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশংকাজনক।
বুধবার রাত ১০টার দিকে তিনি চলে যান না ফেরার দেশে। ফেরা হলো না তার প্রিয় কর্মস্থল ইতালিতে।
নাজমুল ভৈরব উপজেলার শুম্ভুপুর স্টেডিয়ামপাড়া এলাকার সাইদুর রহমানের ছেলে। নাজমুলের অকালমৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
নাজমুল দীর্ঘদিন ইতালি থেকে ছুটি নিয়ে দেশে আসেন বিয়ে করতে। আগামী ৫ মার্চ ইতালিতে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তার।
এ বিষয়ে নিহত নাজমুলের মামা শ্বশুর মিলাদ হোসেন জানান, ইতালি থেকে ছুটিতে দেশে এসে বিয়ে করেছে। বিয়ের তিন মাস পার না হতেই সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল আমার ভাগনি জামাতা। দুদিন পরই ইতালি ফেরার কথা ছিল, কিন্তু আর যাওয়া হলো না তার কর্মস্থলে। সন্ধ্যায় বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে চা পান করতে বের হয়েছিল বলে তিনি জানান।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ইতালি প্রবাসীর মৃত্যুর বিষয়টি অবগত আছি। তবে অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।সূত্র -প্রবাস জার্নাল