রোববার ফাইনালে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে ৪-২ গোলে হারিয়ে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসি পেলেন তার অধরা বিশ্বকাপ ট্রফি।
সেই বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরেছেন মেসি-মার্তিনেজরা। উৎসবমুখর পরিবেশে তাদেরকে বীরের মতো স্বাগত জানিয়েছে লাখো মানুষ।
দোহা থেকে রোম হয়ে আর্জেন্টিনা পৌঁছায় মেসির দল। এর আগে থেকেই দেশটির রাজধানী বুয়েনস এইরেসে অপেক্ষা করেছে হাজার হাজার সমর্থক।
মঙ্গলবার ভোরের আগে আগে রাজধানী বুয়েন্স এইরেসের বিমানবন্দরে অবতরণ করে মেসিদের বহনকারী বিমানটি।
এরপর ছাদখোলা বাসে চড়ে আর্জেন্টিনা দল সমর্থকদের ভিড়ের মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে যায়। তাদের সবার গলায় সোনার মেডেল। একটু পরপর বিশ্বকাপ ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরেন খেলোয়াড়রা, উল্লাসে ফেটে পড়ে চারপাশ।
শুধু তাই নয়, আতশবাজির আলোয় চারদিক রঙিন আলোয় আলোকিত হচ্ছিল। ড্রামের তালেতালে গান গেয়ে পরিবেশ মুখরিত করে রাখে সমর্থকরা।
বিমানবন্দরের পাশেই আর্জেন্টিনার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনে কয়েক ঘণ্টা কাটানোর কথা মেসি-ডি মারিয়াদের। এরপর দুপুরের দিকে শহরের কেন্দ্রে বিশাল ওবেলিসো স্মৃতিস্তম্ভে যাবেন তারা, যেখানে লাখো মানুষের জড়ো হওয়ার সম্ভাবনা আছে। দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় মঙ্গলবার দেশটিতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে মেসিদের উদ্যাপন অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল রোববার রাতে লুসাইলের গঞ্জালো মন্তিয়েলের নেওয়া টাইব্রেকার শটটার পরেই। ওই শটেই নিশ্চিত হয়ে যায় আর্জেন্টিনার জয়, আর তার পর থেকেই লুসাইল স্টেডিয়াম আকাশি-নীলময়। পরিবার নিয়ে তাৎক্ষণিক উদ্যাপন, পুরস্কার গ্রহণ, ট্রফি নিয়ে ছবি তোলা পর্ব শেষে ড্রেসিংরুমেও এক দফা নেচেগেয়ে উদ্যাপন করেছেন আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়েরা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে সেই উদ্যাপনে মেসি, এমিলিয়ানো মার্তিনেজ আর লাওতারো মার্তিনেজকেই বেশি উল্লাস করতে দেখা গেছে। কেউ টেবিলের ওপর উঠে নাচছেন, কেউ মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছেন, আবার দল বেঁধে কোরাস ধরেছেন কখনো কখনো।