মোস্তাকিম বিল্লাহ( স্টাফ রিপোর্টার):
ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল হক বাবুল চিশতী ও তার পুত্র ব্যারিস্টার রাশেদ চিশতী নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন টঙ্গীস্থ জামালপুর ও জামালপরের সর্বস্তরের সাধারণ জনগণ।
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সামনে মানববন্ধন শেষে মিছিল নিয়ে তারা বঙ্গভবন যান। এসময় প্রতিনিধি দলের কাছ থেকে রাষ্ট্রপতির পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন সেনাবাহিনীর একটি টিম। তারা এটি দ্রুতই রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছে দেবেন বলে তাদেরকে জানিয়েছেন।
এর আগে সকালে সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সামনে জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলার সর্বস্তরের সাধারণ জনগণ মানববন্ধন করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আফসার আলীর সভাপতিত্বে এবং বাট্টাজোড় ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম সরকারের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন জামালপুর মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সেলিম রেজা, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য সৈয়দ নুর তাজ কিরণ, ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, বাট্টাজোড় নগর মাহমুদ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. আবু সাইদ, স্ট্যান্ডার্ড ক্রপ কেয়ার বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা শাহিনুজ্জামান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফেরদৌস আলম রিমন,সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান জিলানী (মাফুল), বাট্টাজোর ইউনিয়নের বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাবুল চিশতী স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশকে মুক্ত করেছিলেন। যুদ্ধের পরও দেশের নিভৃত পল্লী অঞ্চলের বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থার ব্যবস্থা করেছেন। বিভিন্ন শিল্প কারখানা গড়ে লাখো জনতার কর্মসংস্থার ব্যবস্থা করেন। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে ও তরুণদের বেকারত্ব দূরীকরণে তার অবদান অতুলনীয়।
তারা দাবি করেন, বাবুল চিশতী ফারমার্স ব্যাংকের লুটপাট ও দূর্নীতি সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। বরং সরকার তার দলীয় লোক নিয়োগ দিয়ে ব্যাংক লুটপাট করেছে। অথচ ২০১৮ সালে রাজনৈতিক কারণে তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমরা অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
সভাপতির বক্তব্য আফসার আলী বলেন, বাবুল চিশতী মুক্তিযুদ্ধের পর দেশের অসচ্ছল মানুষদের সচ্ছল করতে অগ্রনী ভুমিকা রেখেছেন। ৩০ হাজারের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান করেছেন। তার অনুপস্থিতিতে জামালপুরের মানুষের পিছিয়ে পড়ছি। দেশের উন্নয়নের স্বার্থে বাবুল চিশতী ও রাশেদ চিশতীর অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।