পটুয়াখালীতে হঠাৎ করেই বাড়তে শুরু করেছে চালের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে চালের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। এখানকার বাজারগুলোতে বিভিন্ন প্রকারের ৫০ কেজি বস্তার চাল ২০০ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার দুই থেকে তিন দিন পরই বাড়তে শুরু করে চালের দাম। জেলার প্রতিটা উপজেলা শহর থেকে শুরু করে গ্রামগঞ্জের বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজি দরে। পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকা, স্বর্না ৪৮ টাকা, মিনিকেট ৭০ টাকা ও ২৮-বালাম ৫৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে এসব চালের দাম কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা কম ছিলো।
চালের খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি এবং মিলাররা অতিরিক্ত মুনাফার আশায় চাল মজুত করে রাখায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে হঠাৎ চালের দাম বাড়ায় বিপাকে পরেছেন সাধারণ ক্রেতারা। তারা চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
শনিবার (১৩ আগস্ট) পটুয়াখালী পৌর শহরের পুরান বাজারের চাল কিনতে আসা আবু সাঈদ বলেন, ‘আমাদের তো আয় বাড়েনি। এরই মধ্যে বেড়েছে প্রতিটি সবজির দাম। এবার দাম বাড়লো চালের। এভাবে প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়তে থাকলে পরিবার পরিজন নিয়ে আমাদের কষ্ট করে বেঁচে থাকতে হবে।’
নিউ মার্কেট এলাকায় চাল কিনতে আসা সোবাহান মিয়া বলেন, ‘কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বাড়লে মোটামুটি সহনীয় হয়। কিন্তু হঠাৎ করে কেজিতে চালের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। চালের বাজার বর্তমানে অসহনীয় হয়ে পড়েছে।’
পটুয়াখালী নিউ মার্কেট এলাকার চাল ব্যবসায়ী হান্নান মিয়া বলেন, ‘মিলাররা চালের দাম বাড়ানোর ফলে বাধ্য হয়ে আমাদের চাল বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
কলাপাড়া পৌর শহরের চাল ব্যবসায়ী মকবুল মিয়া বলেন, ‘যারা চাল মজুত করে তাদের কারনেই মূলত চালের দাম বেড়ে গেছে।’
পটুয়াখালীতে ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সেলিম মিয়া বলেন, ‘চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে খুব শীগগিরি চালের মিল থেকে শুরু করে খুচরা বাজারে অভিযান চালানো হবে।’