বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে দেশের মূলধারার গণমাধ্যম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া সতর্কতামূলক চিঠিটি ভুয়া বলে নিশ্চিত করেছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। একটি স্বার্থান্বেষী মহল ব্যক্তিস্বার্থে এমন অপপ্রচার করছে বলে গতকাল রোববার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ জানান, গণমাধ্যম নিয়ে সতর্কতামূলক চিঠিটি ভুয়া। এর সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই।
সংগঠনের ছাত্রনেতাদের দাবি, এই প্ল্যাটফরমকে ব্যবহার করে একটি মহল কিছু গণমাধ্যমের তালিকা তৈরি করেছে। এসব গণমাধ্যমকে বিজ্ঞাপন না দেয়াসহ অসহযোগিতা করার দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। যাঁরা এসব গণমাধ্যমকে সহযোগিতা করবেন তাঁদের অপমান-অপদস্থ করাসহ চাকরিচ্যুত করার হুমকিও দিয়েছে।
ভুয়া ওই চিঠিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যেসব মিডিয়া আমাদের অসহযোগিতা করেছে তাদের কোনো ধরনের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা না দিতে আহবান জানানো যাচ্ছে।
চিঠিটিতে টেলিভিশন এবং বাংলা, ইংরেজি পত্রিকাসহ মোট ৫০টি গণমাধ্যমের তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেখানে চ্যানেল আই, ৭১ টিভি, এটিএন বাংলাসহ মোট ১৮টি ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং প্রথম আলো, ইত্তেফাক, জনকণ্ঠ, বাংলাদেশ জার্নালসহ ২১টি বাংলা প্রিন্ট মিডিয়া এবং ডেইলি স্টার, ডেইলি অবজারভারসহ ১১টি ইংরেজি প্রিন্ট মিডিয়ার নাম উল্লেখ করা হয়েছে।