প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সকল জাতি, ধর্ম ও সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন সাহসের প্রতীক।
বুধবার (২৫ মে) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকীতে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকল জাতি, ধর্ম ও সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে জাতীয় কবি ছিলেন সাহসের প্রতীক। কবি নজরুল তার প্রত্যয়ী ও বলিষ্ঠ লেখনীর মাধ্যমে এদেশের মানুষকে মুক্তি সংগ্রামে উদ্দীপ্ত করেছিলেন। তার গান এবং কবিতা সব সময় যেকোনো স্বাধীনতা আন্দোলনে অনুপ্রেরণার উৎস হয়েছে। নজরুল সাহিত্যের বিচিত্রমুখী সৃষ্টিশীলতা আমাদের জাতীয় জীবনে এখনও প্রাসঙ্গিক।
শেখ হাসিনা বলেন, নজরুল জন্মেছিলেন ও বেড়ে উঠেছিলেন একটি পরাধীন সমাজে। পরাধীনতার গ্লানি তিনি উপলব্ধি করেছেন প্রতিটি মর্মে মর্মে। কবি নজরুলের আজীবন সাধনা ছিল সমাজের শোষিত ও নিপীড়িত মানুষের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তি এবং মানুষের সামাজিক মর্যাদার স্বীকৃতি অর্জন। এছাড়াও তিনি অন্যায়, অসত্য, নির্যাতন-নিপীড়ন, নানামাত্রিক অসাম্য ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে আমাদের যুগিয়েছেন প্রতিবাদ প্রতিরোধের অনাবিল প্রেরণা।
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান স্বতন্ত্র মহিমায় সমুজ্জ্বল থাকবে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, কালজয়ী প্রতিভার অধিকারী কবি নজরুল তার লেখায় আমাদের সাহিত্য, সংগীত ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন। তার সাহিত্যকর্মে উচ্চারিত হয়েছে পরাধীনতা, সাম্প্রদায়িকতা ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগ্রামের বাণী। অসামান্য ও বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী কবি নজরুল ছিলেন অসাম্প্রদায়িক ও জাতীয়তাবোধের মূর্ত প্রতীক।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের জীবনাদর্শ একই দর্শনের ধারাবাহিক রূপ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি দেশের জন্য, জাতির জন্য সর্বস্ব ত্যাগ করেছেন। দীর্ঘদিন কারাবরণ করেছেন। মহান মানবতাবাদী কবি নজরুলের সংগ্রামশীল জীবন এবং তার অবিনাশী রচনাবলী জাতির জন্য অন্থহীন প্রেরণার উৎস।জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন তিনি।