ঢাকা , শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বনপাড়া পৌর বিএনপির নেতৃত্বে সরদার রফিকুল ইসলামকে ঘিরে জনগণের আশা ব্যারাকে যাওয়ার নির্দেশ বিমান বাহিনীর টাস্ক ফোর্স সদস্যদের, বিমানবন্দরের দায়িত্বে এপিবিএন ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূতকে প্রধান উপদেষ্টা ইউপিইউ কাউন্সিলে পুনর্নির্বাচিত বাংলাদেশ, প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন নওগাঁয় চার ভুয়া পুলিশ গ্রেফতার কুষ্টিয়ার খোকসায় নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা নিজ গ্রামে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে পৌঁছালো সাজেকে নিহত রিংকির মরদেহ রিয়াদে প্রবাস বাংলা ক্রিকেট লীগের শক্তিশালী টিম লক্ষ্মীপুর সিক্সাস এর জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন  শারদীয় দুর্গা পূজা উৎসব উপলক্ষে দীঘিনালা জোনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত গলাচিপা এনজেড আলিম মাদ্রাসার নবীন বরণ

ব্যারাকে যাওয়ার নির্দেশ বিমান বাহিনীর টাস্ক ফোর্স সদস্যদের, বিমানবন্দরের দায়িত্বে এপিবিএন

সাংবাদিক

ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে নিরাপত্তার দায়িত্ব আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নকে (এপিবিএন) দেওয়া সিদ্ধান্ত দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর। পাশাপাশি বিমান বাহিনীর টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার বলা হয়েছে। 

ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত এক বছর ধরে দুই বাহিনীর রেষারেষি নানা আলোচনার জন্ম দেয়। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অভিযোগ, বিমানবন্দরের ভেতর থেকে তাদের অফিস পর্যন্ত সরিয়ে দিয়েছে এভসেক।

এই বিরোধের জের শেষ পর্যন্ত ঠেকে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে। বুধবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে এক বৈঠকের পর এপিবিএনকে অতিসত্বর বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া এবং বিমান বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব শেষে বাহিনীতে ফেরত পাঠানোসহ ছয়টি সিদ্ধান্ত হয়।

বিষয়টি নিয়ে সিভিল এভিয়েশনের কোনো কর্মকর্তা মন্তব্য করতে চাননি। তবে ওই সভার বিবরণীর (মিটিং নোটস অন সিকিউরিটি অ্যান্ড পুলিশিং অ্যাট এয়ারপোর্ট) একটি অনুলিপি পাঠিয়েছেন এক কর্মকর্তা।

গণঅভ্যুত্থানে গত বছরের অগাস্টে পট-পরিবর্তনের পর আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত হাজারখানেক আনসার এক রাতে দায়িত্ব ফেলে চলে যায়। তখন সেখানে নিরাপত্তা দিতে বিমান বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করার কথা জানানো হয়। একই সঙ্গে অগাস্টের পর থেকে এপিবিএন সদস্যদেরও বিমানবন্দরের ভেতরে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখা হয়।

এরপর অক্টোবরের শেষ নাগাদ বিমানবন্দরে কর্মরত এপিবিএনের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, টার্মিনালের ভেতরে (এয়ারসাইডে) তাদের অফিস কক্ষটির মালামাল সরিয়ে নিয়েছে এভিয়েশন সিকিউরিটি বা এভসেক সদস্যরা।

এ নিয়ে এপিবিএনের পক্ষ থেকে বিমানবন্দর থানায় একটি জিডিও করা হয়। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিমানবাহিনী নির্ভর এভসেকের সঙ্গে এপিবিএন’র দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য আসে। ওই সময় বিমানবন্দরে বিমানবাহিনী সদস্যদের দ্বারা যাত্রী হয়রানির কয়েকটি ঘটনা সমালোচিত হয়। এভসেকের পক্ষ থেকে এপিবিএনের কর্মকর্তাদের ওই ঘটনার ভিডিওগুলো গণমাধ্যমে সরবরাহের অভিযোগ তোলা হয়। সর্বশেষ গত সপ্তাহে এপিবিএন অধিনায়কের বিরুদ্ধে একটি সভায় শিষ্ঠাচার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে পুলিশ সদর দপ্তরে চিঠি দেন বেবিচক সদস্য (নিরাপত্তা) এয়ার কমোডর আসিফ ইকবাল। এই দুই বাহিনীর রেষারেষি নিয়ে দফায় দফায় বিভিন্ন পর্যায়ের বৈঠক ও চিঠি চালাচালির পর বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর পর্যন্ত গড়ায়।

সবশেষ সরকার এখন দেশের বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তায় এয়ার গার্ড অব বাংলাদেশ (এজিবি) নামে নতুন একটি বাহিনী গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বাহিনীর কর্মকর্তারা নতুন বাহিনী নিয়ে এর মধ্যে সভায় বসেছেন। বুধবার বেলা ৩টায় প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে অনুষ্ঠিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ সহকারী লুৎফে সিদ্দিকী।

সভায় পুলিশের আইজিপি বাহারুল আলম, প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের সচিব এম সাইফুল্লাহ পান্না, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব (সংযুক্ত) মাহমুদুল হোসাইন খান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফয়সাল আহমেদ, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব অনুপ কুমার তালুকদার, বেবিচকের সদস্য (নিরাপত্তা) এয়ার কমোডর আসিফ ইকবাল এবং শাহজালাল বিমানবন্দরের সাবেক নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম অংশ নেন।

সভার বিবরণীতে বলা হয়, সভার শুরুতে সভাপতি লুৎফে সিদ্দিকী প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন এবং বিমানবন্দরে আন্তঃসংস্থা সহযোগিতার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কথায় ও কাজের প্রতি পেশাদারিত্ব এবং সম্মান দেখাতে হবে।’ এরপর সেখানে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও পুলিশিং কার্যক্রম নিয়ে পৃথক পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা দেন এভিয়েশন সচিব ও বেবিচক চেয়ারম্যান।

সভায় উপস্থিত আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, ‘বিমানবন্দরে পুলিশের মূল কাজ হচ্ছে অপরাধ প্রতিরোধ ও শনাক্তকরণ। আইনগতভাবে অন্য আর কোনো সংস্থা এই কাজগুলো করতে পারে না।’

সভায় ছয়টি সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে রয়েছে- বিমানবন্দরের একক কমান্ড, রেগুলেশন এবং নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিতের জন্য কার্যকর সব সংস্থা বেবিচকের একক কর্তৃত্বে কাজ করবে; এপিবিএন এবং এভসেক তাদের ওপর দায়িত্ব পালন করবে। যত দ্রুত সম্ভব এপিবিএন বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনের ভেতরে কাজ শুরু করবে; আইজিপি এবং বেবিচক চেয়ারম্যান অপারেশনাল চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় সভা করবেন; বিমান বাহিনীর টাস্ক ফোর্স তাদের দায়িত্ব শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাতৃ সংস্থায় ফিরে যাবে; সব বিমানবন্দরে প্রতি সপ্তাহে নিরাপত্তা সভা হতে হবে; সুদূরপ্রসারী কাঠামোগত পরিবর্তনের অংশ হিসেবে বেবিচককে অপারেটর ও রেগুলেটরের পৃথক ভূমিকায় পুনর্গঠনের বিষয়ে সুপারিশ জানাতে পারে বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৬:৩৮:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৫০৮ Time View

ব্যারাকে যাওয়ার নির্দেশ বিমান বাহিনীর টাস্ক ফোর্স সদস্যদের, বিমানবন্দরের দায়িত্বে এপিবিএন

আপডেটের সময় : ০৬:৩৮:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে নিরাপত্তার দায়িত্ব আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নকে (এপিবিএন) দেওয়া সিদ্ধান্ত দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর। পাশাপাশি বিমান বাহিনীর টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার বলা হয়েছে। 

ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত এক বছর ধরে দুই বাহিনীর রেষারেষি নানা আলোচনার জন্ম দেয়। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অভিযোগ, বিমানবন্দরের ভেতর থেকে তাদের অফিস পর্যন্ত সরিয়ে দিয়েছে এভসেক।

এই বিরোধের জের শেষ পর্যন্ত ঠেকে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে। বুধবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে এক বৈঠকের পর এপিবিএনকে অতিসত্বর বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া এবং বিমান বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব শেষে বাহিনীতে ফেরত পাঠানোসহ ছয়টি সিদ্ধান্ত হয়।

বিষয়টি নিয়ে সিভিল এভিয়েশনের কোনো কর্মকর্তা মন্তব্য করতে চাননি। তবে ওই সভার বিবরণীর (মিটিং নোটস অন সিকিউরিটি অ্যান্ড পুলিশিং অ্যাট এয়ারপোর্ট) একটি অনুলিপি পাঠিয়েছেন এক কর্মকর্তা।

গণঅভ্যুত্থানে গত বছরের অগাস্টে পট-পরিবর্তনের পর আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত হাজারখানেক আনসার এক রাতে দায়িত্ব ফেলে চলে যায়। তখন সেখানে নিরাপত্তা দিতে বিমান বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করার কথা জানানো হয়। একই সঙ্গে অগাস্টের পর থেকে এপিবিএন সদস্যদেরও বিমানবন্দরের ভেতরে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখা হয়।

এরপর অক্টোবরের শেষ নাগাদ বিমানবন্দরে কর্মরত এপিবিএনের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, টার্মিনালের ভেতরে (এয়ারসাইডে) তাদের অফিস কক্ষটির মালামাল সরিয়ে নিয়েছে এভিয়েশন সিকিউরিটি বা এভসেক সদস্যরা।

এ নিয়ে এপিবিএনের পক্ষ থেকে বিমানবন্দর থানায় একটি জিডিও করা হয়। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিমানবাহিনী নির্ভর এভসেকের সঙ্গে এপিবিএন’র দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য আসে। ওই সময় বিমানবন্দরে বিমানবাহিনী সদস্যদের দ্বারা যাত্রী হয়রানির কয়েকটি ঘটনা সমালোচিত হয়। এভসেকের পক্ষ থেকে এপিবিএনের কর্মকর্তাদের ওই ঘটনার ভিডিওগুলো গণমাধ্যমে সরবরাহের অভিযোগ তোলা হয়। সর্বশেষ গত সপ্তাহে এপিবিএন অধিনায়কের বিরুদ্ধে একটি সভায় শিষ্ঠাচার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে পুলিশ সদর দপ্তরে চিঠি দেন বেবিচক সদস্য (নিরাপত্তা) এয়ার কমোডর আসিফ ইকবাল। এই দুই বাহিনীর রেষারেষি নিয়ে দফায় দফায় বিভিন্ন পর্যায়ের বৈঠক ও চিঠি চালাচালির পর বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর পর্যন্ত গড়ায়।

সবশেষ সরকার এখন দেশের বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তায় এয়ার গার্ড অব বাংলাদেশ (এজিবি) নামে নতুন একটি বাহিনী গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বাহিনীর কর্মকর্তারা নতুন বাহিনী নিয়ে এর মধ্যে সভায় বসেছেন। বুধবার বেলা ৩টায় প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে অনুষ্ঠিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ সহকারী লুৎফে সিদ্দিকী।

সভায় পুলিশের আইজিপি বাহারুল আলম, প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের সচিব এম সাইফুল্লাহ পান্না, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব (সংযুক্ত) মাহমুদুল হোসাইন খান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফয়সাল আহমেদ, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব অনুপ কুমার তালুকদার, বেবিচকের সদস্য (নিরাপত্তা) এয়ার কমোডর আসিফ ইকবাল এবং শাহজালাল বিমানবন্দরের সাবেক নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম অংশ নেন।

সভার বিবরণীতে বলা হয়, সভার শুরুতে সভাপতি লুৎফে সিদ্দিকী প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন এবং বিমানবন্দরে আন্তঃসংস্থা সহযোগিতার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কথায় ও কাজের প্রতি পেশাদারিত্ব এবং সম্মান দেখাতে হবে।’ এরপর সেখানে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও পুলিশিং কার্যক্রম নিয়ে পৃথক পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা দেন এভিয়েশন সচিব ও বেবিচক চেয়ারম্যান।

সভায় উপস্থিত আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, ‘বিমানবন্দরে পুলিশের মূল কাজ হচ্ছে অপরাধ প্রতিরোধ ও শনাক্তকরণ। আইনগতভাবে অন্য আর কোনো সংস্থা এই কাজগুলো করতে পারে না।’

সভায় ছয়টি সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে রয়েছে- বিমানবন্দরের একক কমান্ড, রেগুলেশন এবং নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিতের জন্য কার্যকর সব সংস্থা বেবিচকের একক কর্তৃত্বে কাজ করবে; এপিবিএন এবং এভসেক তাদের ওপর দায়িত্ব পালন করবে। যত দ্রুত সম্ভব এপিবিএন বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনের ভেতরে কাজ শুরু করবে; আইজিপি এবং বেবিচক চেয়ারম্যান অপারেশনাল চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় সভা করবেন; বিমান বাহিনীর টাস্ক ফোর্স তাদের দায়িত্ব শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাতৃ সংস্থায় ফিরে যাবে; সব বিমানবন্দরে প্রতি সপ্তাহে নিরাপত্তা সভা হতে হবে; সুদূরপ্রসারী কাঠামোগত পরিবর্তনের অংশ হিসেবে বেবিচককে অপারেটর ও রেগুলেটরের পৃথক ভূমিকায় পুনর্গঠনের বিষয়ে সুপারিশ জানাতে পারে বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়।