ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন। ১৭ এপ্রিল ২০২২ তারিখে কমিশনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মোঃ ওমর ফারুখের স্বাক্ষরিত পত্রে ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এ নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে কমিশন কর্তৃক ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সরেজমিন পরিদর্শনের রিপোর্টের বরাত দিয়ে পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অপ্রতুল শিক্ষক সংখ্যা, যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকের অভাব, গবেষণার অনুপস্থিতি, আচার্য কর্তৃক নিযুক্ত বৈধ কর্তৃপক্ষের অনুপস্থিতি, শিক্ষাসহায়ক ক্যাম্পাসের অনুপস্থিতি, লাইব্রেরীতে প্রয়োজনীয় পাঠ্য বইয়ের অপ্রতুলতা রয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির সকল কারিকুলাম মেয়াদ উত্তীর্ণ।
পত্রে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ধারা ১৮ এবং ২০ অনুযায়ী সিণ্ডিকেট এবং একাডেমিক কাউন্সিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ভর্তি, শিক্ষাদান, সকল পরীক্ষা ও উহার ফলাফল অনুমোদনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত। আইনের ধারা ১৭ এবং ১৯ অনুযায়ী ভাইস-চ্যান্সেলর একাধারে সিণ্ডিকেট এবং একাডেমিক কাউন্সিলের সভাপতি। আইনের ৩১ ধারা অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতি তথা আচার্য সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগ দিয়ে থাকেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি তথা আচার্য কর্তৃক নিযুক্ত ভাইস-চ্যান্সেলরের অবর্তমানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষা ও উহার ফলাফলের আইনগত কোন বৈধতা নেই।
ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭ সাল হতে আচার্য কর্তৃক নিযুক্ত ভিসি এবং প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও আচার্য কর্তৃক নিযুক্ত উপাচার্যের অবর্তমানে অন্য কারো সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সভার আইনগত কোন বৈধতা নেই বলে প্রেরিত পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লিখিত কারণে কমিশন কর্তৃক পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রাখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পত্রের মাধ্যমে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।