শফিকুল ইসলাম সোহেল
ডামুড্যা প্রতিনিধি
“হাঁসবে রোগী বাঁচবে প্রাণ, করবো মোরা রক্তদান” এ প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার রক্তদানকারী সংগঠন ব্লাড টান্সফিউশন অর্গানাইজেশনের ৮ম বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে, র্যালী
, আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার (৯ নভেম্বর) সকালে শরীযতপুরের ডামুড্যা বাজার ব্যাংক রোডে কেক কাটা, আলোচনা সভা ও রক্তদাতা ও উপদেষ্টাদের সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্লাড টান্সফিউশন অর্গনাইজেশনের সভাপতি মিজানুর রহমান ইমন ফকির। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তোফা সিকদার।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা বলেন, রক্তদান একটি মহৎ কাজ। আর এ-ই মহৎ কাজটিই নিয়মিত ও নিরবচ্ছিন্ন ভাবে করে আসছে ব্লাড টান্সফিউশন অর্গানাইজেশন(বিটিও)। তাদের সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করার জন্য আমরা সবসময় পাশে থাকবো। তাদের প্রতি উপদেশ হচ্ছে, নতুন নতুন সদস্য খুঁজে বের করে তাদেরকে এ সংগঠনে যুক্ত করার চেষ্টা করতে হবে।
এছাড়া কারা সর্বোচ্চ রক্তদান করেছে তার পাশাপাশি যে প্রথমবার রক্ত দিয়েছে তাকেও পুরস্কৃত করতে হবে। এতে নতুনরা রক্তদানে উৎসাহী হবে।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির উপদেষ্টা খালেদ রহমান সিকদার,উজ্জ্বল সিকদার, কমল বেপারী, বিএম সাত্তার, শওকত বাঘা, কবির বেপারী, মোসাদ্দেক হোসেন মেহেদী, রাজা বেপারি,তোফায়েল, আমিনুল ইসলাম হিরন,লোটাস সিকদার, রিয়াদ মাদবর,হাসান সিকদার, মান্নান দেওয়ান, ফয়সাল মাদবর, সাবেক সভাপতি নিপু দেওয়ান, মানিক বেপারীসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও রক্তদাতাগণ।
বিটিও এর সভাপতি মিজানুর রহমান ইমন ফকির বলেন,আমরা চাই রক্তের অভাবে যেন একজন মানুষও মারা না যায়। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে চলেছি। রক্তদানের মাধ্যমে একজন মুমূর্ষু রোগী ও তার স্বজনের মুখে হাসি ফোটানোর মাঝেই আমরা শান্তি খুঁজে পাই। সকলের সমর্থন ও সহযোগিতায় বাঁধনের কার্যক্রম আরও প্রসারিত হবে সেই প্রত্যাশা।
সাবেক ছাত্রনেতা খায়রুল হারিস পাপ্পু সিকদারের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত এ সেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিনামূল্যে গত ৭ বছর ধরে শরীয়তপুরের প্রতিটি এলাকায় রক্তদান থেকে শুরু করে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে৷ এ সময় সংগঠনটি হাজারও রোগীকে বিনামূল্যে রক্তদান করে বেশ সুনাম অর্জন করেছে। অনুষ্ঠান শুরুতে সংগঠনের ব্যানারে এক র্যালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্রদর্শিন করে।