ঋণ নিয়ে সিনেমা হল সংস্কার এবং নতুন সিনেমা হল নির্মাণ করলেও হলে চালানোর মতো সিনেমা না থাকায় লোকসানের শঙ্কার কথা জানিয়ে ভারতীয় সিনেমা আমদানির দাবি তুলেছেন প্রেক্ষাগৃহ মালিকরা।
সংকট নিরসনের জন্য তাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, সরকারি অনুদানে দেশে বাণিজ্যিক সিনেমার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে; পাশাপাশি সীমিত সময়ের জন্য ভারতীয় সিনেমাও আমদানি করা যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে নতুন সিনেমা হল নির্মাণ ও সংস্কারে সরকার ঘোষিত এক হাজার কোটি টাকার সহজ ঋণ তহবিলের সুবিধা ও সুষ্ঠু ব্যবহার নিয়ে শতাধিক হল মালিক ও উদ্যোক্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চলচ্চিত্র তথা সিনেমা হলের বিকাশ সমাজকে বিপথগামী থেকে রক্ষায় সহায়ক। তরুণ সমাজকে মাদকাসক্তি ও জঙ্গিবাদ থেকে রক্ষা করার ক্ষেত্রেও চলচ্চিত্র বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সহজ শর্তে এই ঋণ সুবিধা নিয়ে প্রতি জেলা ও উপজেলায় সিনেপ্লেক্স ও হল নির্মাণের মধ্য দিয়ে আগামী দেড়-দুই বছরের মধ্যে সারা দেশে কয়েক শত সিনেমা হল চালু হওয়া সম্ভব। আমরা চাই আমাদের সিনেমা শিল্প বিশ্ব বাজারে জায়গা করে নেবে।’
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও অংশ নেন, অতিরিক্ত সচিব ফারুক আহমেদ, চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন, চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, বাংলাদেশ ব্যাংক ও সোনালি, রুপালি, অগ্রণী, জনতা, ইউসিবি, মেঘনা, বিডিবিএল ও ইউনিয়ন ব্যাংকের প্রতিনিধি এবং রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শতাধিক সিনেমা হলের মালিক ও আগ্রহী উদ্যোক্তারা।