ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমরা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডিকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে অন্তত তিন দিনের জন্য বাংলাদেশ সফরের অনুরোধ করেছি। তাদের সঙ্গে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরাও থাকতে পারেন।
শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে এডিটরস গিল্ড অব বাংলাদেশ আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা জানান।
আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আমেনা মহসিন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইমেরিটাস ও পানি বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত, সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমেদ, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর।
এ ছাড়া ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু এবং ভারতের দ্য হিন্দু পত্রিকার সাংবাদিক কল্লোল ভট্টাচার্য, আনন্দবাজার পত্রিকার অগ্নি রায়, টাইমস অফ ইন্ডিয়ার মহুয়া চ্যাটার্জি এবং টেলিগ্রাফের দেবদীপ পুরোহিতও বক্তব্য রাখেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে শাহরিয়ার আলম বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বের সাত মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি এখন আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এগুোবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমরা এ সফরের জন্য অপেক্ষা করছি।
যদিও সফরের কোনো তারিখ শাহরিয়ার আলম উল্লেখ করেননি।
শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেছে – যা আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও স্বীকার করেছেন।
অর্থনৈতিক উন্নয়নের দ্বিতীয় ধাপে যাওয়ার সময় এসেছে এবং বাংলাদেশ এই প্রক্রিয়ায় অবদান রাখতে তৈরি, বলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
শাহরিয়ার আলম বলেন, সফরের সময়, আমরা মেঘালয় ও আসামের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলব, যারা নির্বাচনের আগে মাঝে মাঝে বাংলাদেশ সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন। তিন মাস আগে যখন আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাম সফর করেছিলেন, তখন তিনি (শর্মা) বলেছিলেন যে শেখ হাসিনার কারণেই আসাম আজ শান্তিপূর্ণ।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরের সময় ভারতের মন্ত্রী কিষাণ রেড্ডি বেশ কয়েকটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কয়েকটি বাস্তবায়নে সম্মত হয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর গত ১৪ বছরের মধ্যে অত্যন্ত সফল, উভয় দেশ তাদের অভিন্ন এবং পারস্পরিক স্বার্থের পরিপ্রেক্ষিতে পারস্পরিক সহযোগিতা দেখাচ্ছে।