ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে পালানোর সময় আটক হয়েছেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে পালানোর সময় তাকে আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির যাওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন।
জানা গেছে- শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে অপেক্ষায় ছিলেন শেখ হাসিনা সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তখন বিমানবন্দরের কর্মচারীরা তাকে ভিআইপি লাউঞ্জে আটকে রাখেন। কিছুক্ষণ পর বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা এসে তাকে আটক করেন।
এর আগে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবর প্রচারের পরপরই সোমবার (৫ আগস্ট) জুনাইদ আহ্মেদ পলকের বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মোবাইল ইন্টারনেট এক টানা ১০ দিন বন্ধ ছিল। সেই সঙ্গে আরও তিন দিন ইন্টারনেটের গতি ৩০ থেকে ৫০ কেবিপিএসের মধ্যে ছিল। পাশাপাশি একটানা পাঁচ দিন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ করে রাখা হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে রাখা হয় এক টানা ১৪ দিন। এসব বিষয়ে জুনাইদ আহ্মেদ পলক একেকবার একেক ধরনের যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। এতে সরকারের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হয়।
প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী টেলিযোগাযোগ আইসিটি খাতে ক্ষতি হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। অথচ বিভিন্ন ব্যক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হিসাব একত্রিত করলে এই ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি।
পাশাপাশি তিনি নিজেও শিক্ষার্থীদের কাছে নিজের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন। একইসময় গুজব প্রতিরোধে অপপ্রচার বন্ধে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করেও জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। অথচ তিনি শপথ নেওয়ার সময় অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি দায়িত্বের অবহেলা করবেন না। রাগের বশবর্তী হয়ে কোনো কাজ করবেন না।