দেশের খাদ্য সরবরাহ বৃদ্ধি করতে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ২৮২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৫ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির জন্য ‘অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ কর্তৃক অনুমোদিত হয়।
দেশের সরকারি খাদ্য মজুদ বৃদ্ধি করে সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখার স্বার্থে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হলে ৫টি দরপত্র জমা পড়ে। ৫টি প্রস্তাবই আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।
দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স এসএইএল এগ্রি কমোডিটিজ লিমিটেড থেকে এই চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রতি মেট্রিক টন ৪৭১.৬০ মার্কিন ডলার হিসেবে ৫০ হাজার টন চাল ক্রয়ে ব্যয় হবে ২ কোটি ৩৫ লাখ ৮০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৮২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। প্রতি কেজি চালের ক্রয় মূল্য ৫৬ টাকা ৫৯ পয়সা।
বৈঠক সূত্রে আরও জানা গেছে, আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দুই কার্গো তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়েছে বৈঠকে। এতে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ৩৬৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। কাজ পেয়েছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড। এ কোম্পানি প্রতি এমএমবিটিইউর দাম নেবে ১৪ দশমিক ৫৫ মার্কিন ডলার।
এদিকে ২ লাখ ৩০ হাজার টন সার কেনার আলাদা প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে, যার জন্য ৯০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। সিঙ্গাপুর, রাশিয়া, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), কাতার ও সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন ধরনের সার আমদানি করা হবে।