ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ সন্তান শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২২’ পালন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের পক্ষ থেকে শিশু-কিশোরদের জন্য রচনা প্রতিযোগিতা এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও পবিত্র গীতা পাঠের মাধ্যমে আলোচনা অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। প্রথমেই দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
আলোচনা পর্বে বক্তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল শহীদ এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
আলোচকেরা বলেন, শেখ রাসেল ১৫ আগস্টের কালরাতে ঘাতকদের হাতে নির্মম হত্যার শিকার না হলে আজ বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর মতো আরও একজন দূরদর্শী, মানবিক ও আদর্শ নেতা পেতো।
দূতাবাসের চার্জ দ্য এফেয়ার্স রাহাত বিন জামান তার বক্তব্যে বলেন, অবহেলিত, পশ্চাৎপদ, অধিকার বঞ্চিত শিশুদের আলোকিত জীবন গড়ার প্রতীক হয়ে গ্রাম-গঞ্জ-শহর তথা বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ জনপদ-লোকালয়ে শেখ রাসেল আজ এক মানবিক সত্তায় পরিণত হয়েছে। মানবিক চেতনা সম্পন্ন সব মানুষ শেখ রাসেলের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের শোককে হৃদয়ে ধারণ করে বাংলার প্রতিটি শিশু-কিশোর তরুণের মুখে হাসি ফোটাতে আজ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রধান অতিথি জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জনাব ফরহাদ হোসেন তার বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং বলেন শিশু বয়সেই শহীদ শেখ রাসেলের অসাধারণ মানবিক ও নেতৃত্বের গুণাবলি ফুটে উঠেছিল।
তিনি বলেন, শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে আজকে আমরা বঙ্গবন্ধুর আরও একজন যোগ্য উত্তরসূরি পেতাম।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, ঘাতকরা শহীদ শেখ রাসেলকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল, কিন্তু তারা সফল হয়নি। শেখ রাসেল মানবিক ও আদর্শিক সত্তা হিসেবে বেঁচে আছেন সবার মাঝে। আজ সবার কাছে শহীদ শেখ রাসেল একটি ভালোবাসার নাম।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোরদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন এবং উৎফুল্ল শিশু-কিশোর ও কমিউনিটির সদস্যদের নিয়ে কেক কেটে শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উদ্যাপন করেন।
অনুষ্ঠান শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল শহীদ, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে আপ্যায়নের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘটে।