অবৈধ পথে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে প্রতিনিয়তই ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করছে হাজার হাজার মানুষ। দালালদের কথা জীবনের ঝুকি নিয়ে নৌকায় করে পাড়ি দিচ্ছেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। মূলত উন্নত জীবনের আশায় সমুদ্রপথে পাড়ি দিলেও সব হারিয়ে এখন নিঃস্ব তাদের অনেকেই।
অনেকেই সাগরে ডুবে মারা যাচ্ছেন। আর যারা ভাগ্যগুণে বেঁচে যান, তাদের ঠাঁই হয় জেলের অন্ধকার খুপড়িতে। বিদেশে যাওয়ার জন্য এমন প্রাণহানি বা বন্দিদশা এখন নিয়মিত ঘটনা। তারপরও থেমে নেই অভিবাসীেদের এ যাত্রা। মূলত দরিদ্র ও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোর মানুষ এ পথে পাড়ি দিচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে যেসব দেশের মানুষ ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করছে সেসব দেশের শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ।
ইউরোপের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হালনাগাদ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছর এক লাখের বেশি অভিবাসী পাড়ি দিয়েছেন পশ্চিম বলকান দিয়ে। এই পথে আসা নাগরিকদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে সিরিয়া, আফগানিস্তান ও তুরস্কের নাগরিক। এরপর মধ্য ভূমধ্যসাগর হয়ে সবচেয়ে বেশি অভিবাসী পাড়ি জমিয়েছেন ইতালিতে।
এ তালিকায় শীর্ষে আছেন বাংলাদেশিরা। এর পরে রয়েছেন তিউনিশীয়, মিশরীয় নাগরিক। মূলত লিবিয়া ও তিউনিশিয়ার উপকূল থেকে নৌকা নিয়ে বিপজ্জনক উপায়ে এই পথে ইতালিতে আসেন তারা।
এই পরিসংখ্যানে ইউক্রেন থেকে পালিয়ে ইইউতে আশ্রয় নেওয়াদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
ফ্রন্টেক্সের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর থেকে এক কোটি দশ লাখেরও বেশি ইউক্রেনীয় নাগরিক ইইউতে প্রবেশ করেছেন।
এদিকে লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়া অভিবাসন প্রত্যাসীদের মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। সব মিলিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অবৈধ পথে ইতালিতে এসেছেন দুই লাখ ২৮ হাজার ২৪০ জন। এই সংখ্যা গত ছয় বছরে সর্বোচ্চ। আবার সমুদ্র পথে পাড়ি দিতে গিয়ে ঠিক কতজন বাংলাদেশি সাগরে ডুবে মারা গেছেন তার হিসাব নেই।