কুষ্টিয়ার ভেড়ামারাবাসী ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী হলো। ৪ কিলোমিটারজুড়ে আগুনের ভয়াবহ তীব্রতায় পুড়ে ছাই হয়ে গেছে কয়েক হাজার বিঘা জমির পানবরজ, ফসলি জমি ও বসতবাড়ি। এলাকায় শোকের মাতম আর আহাজারিতে ভারি হয়ে গেছে আকাশ বাতাস। কয়েকশ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট এবং গ্রামবাসীর নিরলস প্রচেষ্টায় ৪ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
সূত্র জানায়, ভেড়ামারা উপজেলার রায়টা পাথরঘাট এলাকার একটি পানবরজে দুপুর ১২টার দিকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে। একটার পর একটা পুড়তে থাকে পানবরজ। এক পর্যায়ে ভয়াবহরূপ নেয় আগুন। বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে আগুনের লেলিহান শিখায় জ্বলতে থাকে পানবরজ, ফসলি জমি ও বসত বাড়ি। রায়টা, মেঘনাপাড়া, মাধবপুর, আড়কান্দি, গোসাইপাড়ার প্রায় ৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে থাকা পানবরজ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ভেড়ামারা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকাবাসীর সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থ চেষ্টা চালায়। আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে, আগুনের তীব্রতা এতই বেশি যে, দশ কিলোমিটার দূরেও বাতাসে ছাই উড়তে দেখা যায়।
সার্ভিস স্টেশন অফিসার শরিফুল ইসলাম, আগুনের ভয়াবহতায় কুষ্টিয়া, মিরপুর, ঈশ্বরদীর ইউনিটগুলোকে সংবাদ দিলে তারাও দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়।
আড়কান্দি গ্রামের রোকনুজ্জামান রোকন জানান, নজিরবিহীন অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী হলো ভেড়ামারাবাসী। আগুনে প্রায় ৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে থাকা পানবরজ, ফসলি জমি, বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এলাকার মানুষের হৃদয়বিদারক আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে গেছে। তবে কিভাবে আগুনের সূত্রপাত তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি।
বাহাদুরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহেল রানা পবন জানান, ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট এবং গ্রামবাসীর প্রচেষ্টায় ৪ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ভয়াবহ আগুনে নিঃস্ব হয়ে গেছে এ ইউনিয়নের হতদরিদ্র মানুষ। আগুনে মানুষের স্বপ্নের পাশাপাশি কয়েকশ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।