মো.সাইফুল ইসলাম আকাশ:
ভোলার চরফ্যাসনে অটোরিক্সা চোর চক্রের ০৩ সদস্য কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়,ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এর দিকনির্দেশনায় চরফ্যাসন থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরাদ হোসেন এর তত্ত্বাবধানে এসআই প্রবোধ দাশ এর নেতৃত্বে ভোলার বাংলাবাজার ও কালীবাড়ি রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অটোরিক্সা চোর চক্রের ০৩ সদস্যকে চোরাই ০৬ টি অটোরিক্সা ও ১৮ টি ব্যাটারি সহ গ্রেফতার করে চরফ্যাসন থানার একটি চৌকস টিম।
প্রায় দুই সপ্তাহ পূর্বে ভুক্তভোগী জনৈক জাহিদুল ইসলাম নোমান এর মালিকানাধীন একটি অটোরিক্সা চুরি হওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে চরফ্যাসন থানায় রুজুকৃত মামলার রহস্য উদঘাটনের লক্ষ্যে চরফ্যাসন থানার এসআই প্রবোধ দাশ এর নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে। তথ্য প্রযুক্তি মাধ্যমে গত ৩০ নভেম্বর ২০২২ তারিখ এসআই প্রবোধ দাশ সংগীয় কনস্টেবল/৩৭৩ হাসানুজ্জামান বাংলাবাজার পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের সহায়তায় অটোরিক্সা চোর চক্রের প্রধান আসামি হযরত আলী মিজান (৪৯)কে বাংলাবাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্য মতে ভোলার বাংলাবাজার ও কালীবাড়ি রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চোর চক্রের আরো দুই সদস্য হাবিব (২৪) ও ইউসুফ (৫৫)কে চোরাই ০৬ টি অটোরিক্সা ও ১৮ টি ব্যাটারি সহ গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা জানায় যে, চোর চক্রটি বিগত কয়েক মাস যাবৎ ড্রাইভরদের সাথে বন্ধুত্বসূলভ আচরণ করে কোল্ডড্রিংসের মধ্যে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে কৌশলে পানকরিয়ে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চুরি করে আসছে। তারা চোরাই অটোরিক্সার বিভিন্ন যন্ত্রাংশ খুলে আলাদা আলাদা ভাবে বিক্রয় করত এবং অটোরিক্সার ব্যাটারি আসামি ইউসুফ (৫৫) এর ব্যাটারির দোকানে বিক্রয় করত।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের দেওয়া তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করত: চোর চক্রের সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের সনাক্তপূর্বক গ্রেফতার অবিযান অব্যাহত রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে এর আগেও ভোলা জেলার বিভিন্ন থানায় চুরির একাধিক মামলা রয়েছে।