ভ্রমণ অথবা ব্যবসায়ের কাজে যারা যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন তারা সেখানে গিয়ে চাকরি করতে পারবেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও অভিবাসী সেবা সংস্থা (ইউএসসিআইএস)। বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে যারা যেতে চান তাদের বি-১ ও যারা ভ্রমণে যেতে চান তাদের বি-২ ক্যাটাগরির ভিসা দেয়া হয়। এ দুই ক্যাটগরির যেসব ভিসাধারী কাজ করতে আগ্রহী তারা চাকরির আবেদন ও চাকরি পাওয়ার পর কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে পারবেন। তবে এর আগে তাদের ভিসার ধরণ পরিবর্তন করতে হবে।
ইউএসসিআইএস একটি টুইট বার্তায় বলে, অনেকে জিজ্ঞেস করেন বি-১ ও বি-২ ভিসাধারীরা নতুন কাজের খোঁজ করতে পারবেন কিনা। উত্তর হলো, হ্যাঁ। বি-১ এবং বি-২ ভিসাধারীদের চাকরি খোঁজা ও ইন্টারভিউ দেয়ার অনুমতি আছে। তবে একইসঙ্গে সংস্থাটি মনে করিয়ে দিয়েছে, নতুন কাজ শুরুর আগে, বি-১ ও বি-২ ভিসা থেকে অন্য ভিসা পাওয়ার আবেদন ও এটির অনুমোদন অবশ্যই পেতে হবে।
এছাড়া নন-ইমিগ্রেন্ট ভিসাধারীদের মধ্যে কিছু ভ্রান্ত ধারণা আছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। সেগুলো পরিষ্কার করার চেষ্টা করেছে তারা।
সংস্থাটি বলেছে, যখন একজন নন-ইমিগ্রেন্ট কর্মী চাকরি হারান, তারা আসলে জানেন না তাদের কী করার আছে। এমনকি কেউ কেউ ভাবেন, তাদের ৬০ দিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হবে। ৬০ দিনের এ সময়টি শুরু হয়, চাকরি হারানোর পর শেষ বেতন পাওয়ার পর থেকে।
এ ব্যাপারে সংস্থাটি বলেছে, যখন ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে কেউ চাকরি হারান বা ছেড়ে দেন, তারা চাইলে যুক্তরাষ্ট্রে থাকার জন্য, যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে একাধিক ব্যবস্থা নিতে পারেন।
যার মধ্যে রয়েছে নন-ইমিগ্রেন্ট ভিসার ধরণ বদল করা; অবস্থান পরিবর্তনের আবেদন করা; চাকরির কাগজপত্রের অনুমোদনের ‘জরুরি পরিস্থিতির’ আবেদন করা; অথবা চাকরি পরিবর্তনের সুবিধার আবেদন।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, যদি চাকরিচ্যুত হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে এগুলোর যে কোনো একটির আবেদন করা হয় তাহলে নন-ইমিগ্রেন্ট ভিসাধারীদের আরও ৬০ দিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমতি দেয়া হবে। তবে ভ্রমণ ভিসায় গিয়ে চাকরি পাওয়ার পর যদি কাউকে কাজের অনুমোদন না দেয়া হয় তাহলে তাকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হবে।