আগামী মঙ্গলবার ঢাকাসহ দেশের সকল মহানগরে মকবুল হোসেনের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদ সভা করবে বিএনপি।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, মকবুল হোসেনের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আগামী ২৬ এপ্রিল ঢাকাসহ সকল মহানগরে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হবে। আর বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, প্রকৃত সত্য উদঘাটনের জন্য একটি ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে দুই জন নিহত ও সাংবাদিকসহ অনেকে আহত হওয়ার ঘটনায় বিএনপি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও বিক্ষুব্ধ জানিয়ে তিনি বলেন, এই ঘটনা প্রমাণ করেছে যে দেশে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি কতটা নাজুক। পুলিশের উপস্থিতির মধ্যে ভয়াবহ হামলা, পাল্টা হামলা, মারাত্মক অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হেলমেট পরিহিত সন্ত্রাসী পিটিয়ে মানুষ মারছে অথচ পুলিশের নিষ্ক্রয়তা জনগণের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি করেছে।
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় হেলমেটধারী প্রকৃত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করে বিএনপি নেতা মকবুল কে গ্রেপ্তার ও ২৪ জন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনর নেতার নাম উল্লেখ করে প্রায় ১২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা বিএনপি তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে।
বর্তমান অবৈধ সরকার পুনরায় তাদের পুরোনো খেলায় মেতে উঠেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, টানা দুই দিনে সংর্ঘষ বন্ধ করতে না পারায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা ও উদাসীনতাকে যখন জনগণ দায়ী করছে- সেই সময় সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নিরপরাধ বিএনপি নেতা মকবুল কে গ্রেপ্তার ও অন্যন্যদের বিরুদ্ধে দায়ের করে পুলিশ নিজেদের ব্যর্থতা ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আড়াল করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্যের ঊদ্ধগতির কারণণে, সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থতার বিরুদ্ধে যখন জনগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে- তখন জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার জন্য সরকার উদ্দেশ্য মূলকভাবেই এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপিকে জড়াচ্ছে। সরকার পূর্বের মতই মামলার বেড়া জালে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বন্দি করার চক্রান্ত করছে। মামলা, গ্রেপ্তার, গুম, খুন, হত্যা এই সরকারের প্রধান অস্ত্র যা দিয়ে বিএনপিকে রাজনীতি থেকে দুরে রাখার চেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগ সরকার গত এক যুগ যাবৎ অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য রাষ্ট্রের সকল যন্ত্রকে ব্যবহার করে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের জীবনের কোনও নিরাপত্তা নেই, ব্যবসার কোনও পরিবেশ নেই। বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করা হয়েছে। দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিকরন করা হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিষ্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান এবং ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।