Saturday , 20 April 2024
শিরোনাম

মতলব উত্তরে কালবৈশাখী ঝড়ে মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের ফসলের ক্ষতি

সফিকুল ইসলাম রানা : গত কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরমের পর বুধবার সকালে হঠাৎ করেই চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের আওতায় বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টি আর ঝড়ো বাতাসে ধানগাছগুলো নুইয়ে পড়ে মাটির সাথে এক হয়ে গেছে। ফলে ফলন বিপর্যয়ের আশংকায় হতাশ কৃষক! এছাড়াও ভুট্টা, তরকারি, শাকসবজি, কাঁচা মরিচ, ঘর বাড়ি সহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের কৃষকের স্বপ্ন যেন গুড়েবালি হয়েছে কালবৈশাখী ঝড়ে। ধান পরিপুষ্ট হয়ে পাকার আগেই মাটিতে পড়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে বাধ্য হয়েই ধান কাটতে হচ্ছে কৃষকদের। সময়ের আগে ধান কাটার ফলে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন তারা। আবহাওয়ার এ অবস্থায় একই সঙ্গে মাঠে ফসল কাটা শ্রমিকেরও সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে বেশি দামে শ্রমিক দিয়ে ধান কাটতে হচ্ছে কৃষকদের। আধা-কাচা পাকা ধান মাটিতে নুইয়ে পড়ে যাওয়া ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে এ অবস্থায় ফসলহানির ভয়ে আধাকাচা পাকা ধান কাটতে হচ্ছে কৃষকদের।

মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের আওতার খাগুরিয়া গ্রামের কৃষক রুহুল আমিন মোল্লা, মহিউদ্দিন, রবিউল জানান, ধানের যে অবস্থা কাইটা কোন লাভ নাই। এক কানি ধান কাটতে খরচ ৭ -৮ হাজার টাকা, ফলন হবে ১৮- ২৫ মন। আর ধানের ৯০০-১০০০ টাকা মন। কিন্তু সবমিলিয়ে ধানের উৎপাদন খরচ প্রতি মন ১৪০০-১৫০০ টাকা। আবার এমন দুর্যোগে ক্ষতির সম্মুখীন হলে আমরা নিরুপায় হই। মূলত গরুর খড়ের জন্য এখন ক্ষেতে যাওয়া লাগে। নাইলে গেলাম না অনে। এভাবেই জানালেন তারা কষ্টের কথা।

ওটারচর গ্রামের কৃষক আতাউর রহমান সরকার বলেন, আমি ৪বিঘা জমিতে ব্রি-৯২, হাইব্রিড ও ব্রি-১০০ ধানের আবাদ করেছি। সবেমাত্র ধান কাটার প্রস্তুতি নিয়েছি। কিন্তু বুধবার সকালে বাতাসের কারণে ১বিঘা জমির ধানগাছ মাটিতে শুয়ে পড়েছে। ধান ঝরে পড়েগেছে। এ অবস্থায় ফলনের বিপর্যয়সহ লোকসানের আশংকা করছেন কৃষক আতাউর রহমান সরকার। তিনি প্রতি বিঘায় প্রায় ৪/৫ মণ ধান কম হবে বলে জানান।
সাদুল্যাপুর গ্রামের শরীফ জানান, আমি ৪ বিঘায় ব্রি ধান- ২৮, ব্রি ধান – ২৯ আবাদ করি কিন্তু ব্রি ২৮ মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে।

সুলতানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুবকর সিদ্দিক খোকন জানান, বুধবার সকালে বড় আকারের কালবৈশাখীর ঝড় হওয়ার কারণে ঘরবাড়ি সহ ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছে।

মতলব উত্তর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন বলেন, কালবৈশাখীর ঝড়ে ঘরবাড়িসহ ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তবে কৃষক ফসল ঠিকঠাক মত ঘরে তুলতে পারলে ক্ষতির পরিমানটা হয়তো এত ব্যাপক হবে না।

 

Check Also

গরমের কারণে স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ ঘোষণা

দেশের কিছু কিছু জায়গায় তীব্র ও অধিকাংশ জায়গায় মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x