কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত ৬০ কোটি টাকায় মনোনয়ন ক্রয় করেছেন। টকশোতে মনোনয়ন ‘বাণিজ্য’ নিয়ে এমন বক্তব্য দেওয়ায় জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) সভাপতি নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, বিএনপি নেতা মনিরুল হক চৌধুরীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার অপর আসামি হলেন টেবিল টক ইউকের সঞ্চালক হাসিনা আক্তার।
বুধবার (১ জুন) চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জহিরুল কবিরের আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক আবদুল্লা আল মাহমুদ সহিদ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী। তিনি বলেন, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ জুলাই।
মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত ১৩ মে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাতকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়। এরপর ১৯ মে লন্ডন থেকে পরিচালিত ইউটিউব চ্যানেল টেবিল টক ইউকের মাধ্যমে একটি টক শোতে রিফাতের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট অপপ্রচার করা হয়।
অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ ওই টকশোতে উল্লেখ করেন, মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের দলের মনোনয়ন পেতে ১৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। পরে শুনলাম- এটা বেড়ে ২০ কোটি টাকায় গেছে। পরে যে হইচইটা হলো এই টাকার পরিমাণটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে নাকি ৬০ কোটি টাকা। তারা টকশোতে মানহানিকর বক্তব্য দেন। এছাড়া টকশোতে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে তিনি বাদীর সম্মানহানি করেছেন।
কোনো ধরনের তথ্য প্রমাণ ছাড়াই এ ধরনের বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়। তার এ ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের অন্যান্য সদস্যসহ বাদীর সম্মানহানি হয়েছে। একইসঙ্গে মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের পারিবারিক ও রাজনৈতিক সম্মানহানি ঘটানো হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, একই টকশোতে ২নং আসামি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মো. মনিরুল হক চৌধুরী পরিকল্পিতভাবে ১নং আসামি অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন।
৩নং আসামি হাসিনা আক্তার ওই টকশো-তে ‘৬০ কোটি টাকা দিয়ে নমিনেশন ক্রয় করেছে গডফাদার রিফাত’ শিরোনামে সংবাদ প্রচার করেন।
আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে সামাজিক গণমাধ্যম ব্যবহার করে ওই টকশো অনুষ্ঠানে মানহানিকর বক্তব্য প্রচার করে আসন্ন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।সূত্র- যুগান্তর