যুক্তরাজ্য সরকারের আরও মন্ত্রীসহ সরকারের নানা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পদত্যাগে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের পর তাদের দেখাদেখি পদত্যাগ করেন শিক্ষামন্ত্রী, আইনমন্ত্রীসহ আরও অনেক মন্ত্রী।
বুধবার সকাল পর্যন্ত পদত্যাগের এই জোয়ারে সামিল হন অনেক জুনিয়র মন্ত্রী এবং জনসনের সহযোগীরাও। জনসনের অনুগত এমপি যারা ছিলেন তাদের মধ্যেও এখন তার সমর্থন কমে আসছে।
এ পরিস্থিতিতে বিরোধীদল লেবার পার্টির নেতা কির স্টারমারসহ হাউজ অব কমন্সের অন্যান্যদের তীব্র প্রশ্নের মুখে পড়েছেন জনসন। সরকারে পদত্যাগের যে ঢেউ দেখা যাচ্ছে, তাতে জনসন এখন এই শূন্যদগুলো পূরণ করবেন কিনা- সে প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ।
হাউজ অব কমন্সে এমপি’দের সামনে সাপ্তাহিক প্রশ্নোত্তর পর্বেও প্রধানমন্ত্রী স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় আরও বেশি বিস্ফোরক পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন। হাউজ অব কমন্সের সবচেয়ে প্রভাবশালী কমিটিগুলোর চেয়ারম্যানদের কাছ থেকেও কয়েকঘণ্টা ব্যাপী প্রশ্নবাণের মুখে পড়তে চলেছেন জনসন।
স্কটিশ ন্যাশনল পার্টি (এসএনপি) নেতা আয়ান ব্যাকফোর্ড প্রশ্ন তুলে বলেছেন, জনসন কলম হাতে নেয়া এবং পদত্যাগপত্র লেখার আগে আর কত মন্ত্রীর পদত্যাগ করা প্রয়োজন?
উত্তরে জনসন দেশের অর্থনীতি বাঁচাতে পদক্ষেপ নেয়ার ওপর জোর দিয়ে বলেছেন, সময় যখন কঠিন যায় তখন সরকারের পেছন দিকে হাঁটা উচিত নয়।
তিনি বলেন, ইউরোপে ৮০ বছরের মধ্যে বড় একটি যুদ্ধের (ইউক্রেইন যুদ্ধ) এই সময়ে দেশ যখন অর্থনৈতিক দিক থেকে চাপের মুখে আছে, ঠিক সেই সময়ে সরকার কাজ চালিয়ে যাবে এমনটিই মানুষ আশা করবে।
সরকার এখন অর্থনীতির ধাক্কা থেকে পরিবারগুলোকে বাঁচাতে সহায়তা করছে এবং এ কাজকেই সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে জানান জনসন।