ময়মনসিংহে ১০০ কোটির সরকারি জমি বিক্রি সাড়ে ৫ লাখে, দুদক তদন্তে
জমিটির মূল মালিক ছিলেন রেবতী মোহন দাস। ১৯৬৩ সালে আইনি প্রক্রিয়ায় এটি আদমজি জুট মিলের নামে হস্তান্তরিত হয়। পরবর্তীতে জুট মিল বন্ধ হয়ে গেলে জমিটি পরিত্যক্ত অবস্থায় সরকারি রেকর্ডে আসে।
২০২২ সালে রবীন্দ্র মোহন দাস নিজেকে রেবতী মোহন দাসের ছেলে দাবি করে জেলা প্রশাসক ও পাটকল করপোরেশনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত ২০২৪ সালের ৮ মে মামলাটি খারিজ করে। তবে মামলার আগে রবীন্দ্র মোহন দাস জনৈক মিরাশ উদ্দিনকে আমমোক্তারনামা দেন।
সপ্তাহখানেক আগে বিষয়টি জানাজানি হলে ব্যাপক সমালোচনা হয়। ঘটনায় দুদক তদন্ত শুরু করেছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আজিম উদ্দিন এবং দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু মোহাম্মদ সারোয়ার হোসাইন অভিযোগ-সমালোচনার মধ্যে তদন্ত পরিচালনা করেছেন।
ময়মনসিংহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌসুলি মো. আজহারুল হক বলেন, “জমির মামলা যাচাই-বাছাই করেই সাব রেজিস্ট্রার দলিল কার্যক্রম করেছেন। তবে অন্য আদালতে মামলা থাকলে তা জানা সম্ভব হয়নি। এখন একটি ছানি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আগের দলিল স্থগিত করা হয়েছে।”
সদর সাব রেজিস্ট্রার মো. জাহিদ হাসান জানান, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী দলিল কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক বলেন, “ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আরও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”