বরগুনা জেলা প্রতিনিধিঃ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অনেক দাতব্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা অসহায় মানুষের উন্নয়নে কাজ করে থাকে। আবার অনেক মানুষ আছেন যারা এসব দাতব্য প্রতিষ্ঠানে বিভিন্নভাবে দান করে থাকেন। শুধু অর্থই নয় বরং নিজইচ্ছায় নিজেদের শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোও দান করে থাকেন অনেকেই। এরই একটি অংশ হচ্ছে মরণোত্তর দেহ দান। সৌদি আরবে রাষ্ট্রীয়ভাবে অর্গান ডোনেশন স্বীকৃত বিষয়, যে কোনো দেশের নাগরিক বা সৌদি সিটিজেন অর্গান ডোনেশন বা মরণোত্তর দেহ দান করতে পারেন।
উক্ত দান কৃত অর্গান অসহায় ও অঙ্গহীন মানুষের শরীরের প্রতিস্থাপন করে তাঁকে নতুন জীবন দেয়া হয়। তাই অসহায় ও অঙ্গহীন মানুষের দুনিয়ার জীবন অর্থবহ করতে সৌদি আরবে নিজের মরণোত্তর দেহ দান করলেন সমাজদর্পণের প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম শামীম। এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “সমাজ এবং সমাজের মানুষের প্রতি প্রত্যেক মানুষের দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমাদের অনেকরই সামর্থ্য নাই দায় মুক্তির। কিন্তু আমরা চাইলে অনেক বড় অবদান রাখতে পারি মানবকল্যাণে, মৃত্যুর পরে এই সুন্দর দেহ মাটিতে মিশে যাবে, এর কোনো অস্তিত্ব থাকবেনা। আমরা যদি মরণোত্তর দেহ দান করে যাই তাহলে তাঁর মাধ্যমে আমরা মানবকল্যাণে বিশাল অবদান রাখতে পারি। ” অবশেষে তিনি আরজ আলী মাতুব্বর ও হোসেন মোল্লার দেখানো পথেই হাটলেন। তাদেরই মতো তিনিও মৃত্যুর পরে তাঁর শরীরের সকল গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন – কিডনি, হার্ট, চোখের কর্নিয়া, লিভার, লাং, প্যানক্রিজ ইত্যাদি দান করে দিলেব। তাঁর মৃত্যুর পরে তাঁর শরীরের অঙ্গ দিয়ে মানুষ পৃথিবীতে শ্বাস নিবে, পৃথিবীর আলো দেখবে। শুধু মরণোত্তর দেহ দানই নয়, বাংলাদেশের অসহায় মানুষের উন্নয়নের লক্ষে ”সমাজদর্পণ মানবিক ফাউন্ডেশন” নামে তার একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইতিমধ্যে উক্ত প্রতিষ্ঠানের আওতায় সমাজে পিছিয়ে পড়া সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সৃজনশীলতা বিকাশে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে তারই প্রতিষ্ঠিত ”সমাজদর্পণ ব্লাড ফাউন্ডেশন”-এর কার্যক্রম যথেষ্ট পরিচিতি লাভ করেছে। বহুসংখ্যক ব্লাড ডোনার যারা এর সাথে যুক্ত আছে এবং বিভিন্ন অসহায় মানুষদের বিনামূল্যে রক্ত দান করে থাকে। তার এই দাতব্য ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, সমাজদর্পণের সাথে যেসকল উদ্যোমি তেজ দীপ্ত তরুণরা রয়েছে তাদের নিয়ে সমাজদর্পণ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ