ইউক্রেনে প্রায় তিন মাস ধরে সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে রাশিয়া। পশ্চিমা বিশ্বের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা চলছি যুদ্ধ। চলমান সামরিক অভিযান চালানোর কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘শাস্তিমূলক’ ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলো বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে মস্কো।
সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদভ বলেছেন, বিশ্বের সর্বাধিক পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী দেশ রাশিয়াকে শাস্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করার মতো অর্থহীন কাজ হতে পারে না।
তিনি নিজের অফিসিয়াল টেলিগ্রামে দেয়া এক পোস্টে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসি ইউক্রেনে রুশ সেনাবাহিনীর হাতে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের বিচার করার উদ্যোগ নেয়ার পর মেদভেদেভ এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, রাশিয়াকে শাস্তি দেওয়ার পদক্ষেপ ” মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য হুমকি তৈরি করবে”। এ বক্তব্যের মাধ্যম মেদভেদেভ সম্ভাব্য পরমাণু যুদ্ধের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় রুশ ভাষাভাষি অধ্যুষিত দোনবাস অঞ্চলকে বেসামরিকীকরণের লক্ষ্যে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করেন। আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশগুলো এই অভিযানকে ‘পুতিনের ভূমি জবরদখল’ বলে উল্লেখ করেছে।
এসব পশ্চিমা দেশ মস্কোর বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তরে রাশিয়া বলছে, ইউক্রেন মস্কোর একগুচ্ছ দাবি মেনে নিলে সামরিক অভিযান বন্ধ হবে না। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে, ইউক্রেনকে এই অঙ্গীকার করতে হবে যে, সে কখনও ন্যাটো জোটে যোগ দেবে না।