মাঙ্কিপক্স ঘিরে বিশ্ব জুড়ে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। বিশ্বব্যাপী বাড়ছে এ ভাইরাসের সংক্রমণ। মূলত সমকামীদের মধ্যেই এই ভাইরাসের সংক্রমণ বেশি দেখা গেছে।
এমন পরিস্থিতিতে সমকামিতায় লাগাম টানাসহ বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বুধবার (২৭ জুলাই) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানানো হয়।
ইতিমধ্যেই মাঙ্কিপক্সের জেরে বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজার ছাড়িয়েছে। বিশ্বের ৭৮ টি দেশে ছড়িয়েছে মাঙ্কিপক্সের মতো রোগ। যার মধ্যে ৭০ শতাংশ ইউরোপে ও ২৫ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রে পাওয়া গেছে। গত মে মাস থেকে এ পর্যন্ত মাঙ্কিপক্সে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সত্রত বার্তা দিয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউ এইচও।
সংস্থাটির পরিচালক টেড্রস গ্যাবরিয়েসস জানিয়েছেন, পুরুষরাই মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি বহন করতে পারেন। সেক্ষেত্রা সঙ্গমসঙ্গীর সংখ্যা কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। মে মাসে মাঙ্কিপক্সের দাপট শুরু হয় বিশ্বজুড়ে। সেখানে দেখা গিয়েছে সমলিঙ্গ পুরুষদের মধ্যে মাঙ্কিপক্সের আধিক্য বেশি। ৯৮ শতাংশ এই আক্রান্তদের মধ্যে বাইসেক্সুয়ালদের সংখ্যাও কম নয়। এছাড়াও দেখা যাচ্ছে পুরুষদের সংখ্যা অনেকটাই বেশি।
গ্যাবরিয়েসস বলছেন, ‘এই প্রাদুর্ভাব কমানো যায়। সবচেয়ে ভাল পন্থা হল ঝুঁকির রাস্তা থেকে সরে আসা।’
তিনি বলেন, ‘নিজের জন্য ও অপরের জন্য নিরাপত্তা রাখা ও নিজের সেক্স পার্টনারের সংখ্যা কমানো’ প্রয়োজন এক্ষেত্রে। তিনি এও বলেন, এই বার্তা তাঁদের জন্য যে সম্পর্কে ‘পুরুষরা পুরুষসঙ্গীদের সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হন।’
এদিকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, যাঁদের ক্ষেত্রে ঝুঁকির পরিমাণ খুবই বেশি, তাঁরা যেন এই মাঙ্কিপক্সের ভ্যাকসিন গ্রহণের দিকে এগিয়ে যান। বলা হচ্ছে, যাঁদের অনেক জন সঙ্গম সঙ্গী রয়েছেন, বা যাঁরা স্বাস্থ্য কর্মী বা সমলিঙ্গের পুরুষদের ক্ষেত্রে এই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
শনিবারই বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে যে মাঙ্কিপক্স এই মুহূর্তে একটি আপৎকালীন পরিস্থতির মুখে বিশ্বকে দাঁড় করিয়েছে। ফলে সতর্কতা অবলম্বন খুবই জরুরি। ভারতেও এই রোগ নিয়ে বিভিন্ন বন্দর ও বিমানবন্দরে আলাদা করে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।