তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের মাথাপিছু আয় ভারতকে ছাড়িয়ে গেলেও আমাদের দেশে কোনো প্রশংসা নেই। করোনা পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকোয়েট হলে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের অস্বচ্ছল
খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের (কেইউজে’র) সভাপতি ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, জেলা পরিষদের প্রশাসক শেখ হারুনুর রশীদ, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দ্বীপ আজাদ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান তালুকদার, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল-তখন আইন পরিবর্তন করে শ্রমিক বানিয়ে দিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন। তাদের শাসনামলে খুলনা অঞ্চলের বহু সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। সম্প্রতি বিএনপিপন্থী সাংবাদিকদের একটি অনুষ্ঠানে ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একটি বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ার জেরধরে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রেস কাউন্সিলে সাংবাদিকদের আইনী সহায়তা দেবার সুযোগ নেই। চলচিত্র অধিদপ্তরও সাংবাদিকদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। গণমাধ্যম কর্মী আইন পাশ হলে সাংবাদিকরা সুরক্ষা পাবেন। প্রয়োজনীয় সংশোধন-সংযোজন করে গণমাধ্যম কর্মী আইন পাশ করা হবে।
তথ্য মন্ত্রী আরও বলেন, পার্শ্ববর্তী ভারত-পাকিস্তানসহ কোনো দেশেই এভাবে করোনা প্রণোদনা সহায়তা দেয়া হয় না। যাদের চাকরি আছে, তাদের কোন করোনাকালীন সহায়তা দরকার নেই। বিটিভি’র মতো স্টেশনের সাংবাদিকদের তো প্রণোদনার দরকার নেই। অষ্টম ওয়েজ বোর্ড যারা বাস্তবায়ন করবে না, তারা সরকারের কোনো সুযোগ-সুবিধা পাবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক খুলনা টাইমস এর নির্বাহী সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিয়াজের সঞ্চালনা অনুষ্টিত অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাষ্ট হতে চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে ৩২ জনকে এবং করোনাকালীন আর্থিক প্রণোদনার অংশ হিসেবে ৮৬ জন সাংবাদিককে আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান করা হয়।
সাংবাদিকদের চিকিৎসা সহায়তা ও করোনা প্রণোদনার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।