আজ শনিবার, ১৫, অক্টোবর,২০২২ খ্রি. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মোৎসব উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ সেমিনারের ৪৩৯তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, ইউএন ডিজএ্যাবিলিটি রাইটস চ্যাম্পিয়ন ও অনারারি প্রফেসর আবদুস সাত্তার দুলাল এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, রংপুর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আর্জিনা খানম ও কুষ্টিয়া থেকে সিনিয়র সাংবাদিক হুমায়ুন কবির।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন গোপালগঞ্জস্থ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’র ইনস্টিটিউট অফ লিবারেশন ওয়ার এন্ড বাংলাদেশ স্টাডিজের অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার, কুমিল্লার লাকসাম থেকে প্রভাষক কামাল উদ্দিন।
সভাপতির বক্তৃতায় ড.কলিমউল্লাহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, মানবদরদী বঙ্গবন্ধু পড়াশোনা বন্ধ রেখে দুর্ভিক্ষকবলিত মানুষ বাঁচাতে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুস সাত্তার দুলাল বলেন,বঙ্গবন্ধু মানুষকে সম্মান করতেন, গুরুজনদের শ্রদ্ধা করতেন। আমাদের উচিত জাতির উন্নয়নে এবং জাতি সৃষ্টিতে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা ও যথাযথ মূল্যায়ন করা। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে গুণীজনদের অবদান তুলে ধরতে না পারলে ভবিষ্যৎ গুণীজন তৈরি হবে না।
আর্জিনা খানম বলেন,আধুনিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে অবস্থান করে কিভাবে বঙ্গবন্ধু স্বাধীন-সার্বভৌম একটি দেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের পটভূমি রচনা ও বাস্তবায়ন করেছিলেন তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে হবে।
সাংবাদিক হুমায়ুন কবির বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে দেশ সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর কৃষি বিপ্লব বাস্তবায়নে প্রতিটি গ্রামের বাড়ির আঙিনা সবজি বাগানে রূপান্তরিত করতে হবে।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন আমেরিকার মিলেনিয়াম টিভির কান্ট্রি ডিরেক্টর ও রয়্যাল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী।
সেমিনারে অন্যন্যের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত প্রকৌশলী শাফিউল বাশার, রাজশাহী থেকে ডা. মাহবুবুল হক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ডা.বায়েজিদা ফারজানা।