স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘মানুষের ক্ষতি হয়, এমন কোনো কাজ আমরা মেনে নিতে পারি না, হতে দেব না। ভুল ওষুধে যেমন মানুষের মৃত্যু হতে পারে, তেমনি ভুল কসমেটিকসের কারণে মানুষের শরীরে ক্যান্সার হতে পারে। এমনকি ধীরে ধীরে শরীরের কিডনি পর্যন্ত নষ্ট করে দিতে পারে। এজন্যই ওষুধের মতো কসমেটিকসসের জন্যও আইন থাকা প্রয়োজন।’
আজ রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই ভবনে এফবিসিসিআই আয়োজিত ‘প্রস্তাবিত ঔষধ ও কসমেটিক্স আইন-২০২৩: বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট ও ভবিষ্যৎ প্রভাব’ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসময় সভায় উপস্থিত স্টেক হোল্ডারদের আশ্বস্ত করে বলেন, আমরা কারও ক্ষতির জন্য নয়, আমরা ভাল কাজে উৎসাহ দিতে চাই। যাতে আমাদের ইন্ডাস্ট্রি বড় হয়, যাতে অনেক লোকের কর্মসংস্থান হয়, সরকার বেশি রাজস্ব আহরণ করতে পারে। কাজ করতে গেলে কিছু সমস্যা হতেই পারে, তার সমাধানও আছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, ঔষধ খারাপ হলে রোগী অসুস্থ হয়ে যাবে। ডাক্তার ভালো, মেশিন ভালো, কিন্তু মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ যেটা খাওয়ালেন সেটা নকল, নিম্নমানের তাহলে রোগ সারবে না। এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স তৈরি হতে থাকবে। এসব দেখার দায়িত্বতো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। এসব কারণে প্রায় ২০টি শিল্প বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি অনেক মেডিকেল কলেজও আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। যাতে মানুষের ক্ষতি হয় সেগুলো আমরা চলতে দিতে পারি না, দেবও না।
মন্ত্রী বলেন, কসমেটিকস মানুষের মুখে, শরীরে লাগানো হয়, বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয়। কসমেটিকসে ক্ষতিকর কোনো উপাদান থাকলে, সেগুলো ব্যবহার করে মানুষের ক্ষতি হয়। এসব ক্ষতিকর কসমেটিকস কেউ যদি দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবহার করে তাহলে, স্কিন ক্যান্সার হতে পারে, দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবহার করলে কিডনি, লিভার আক্রান্ত হয়।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো: জসিম উদ্দিন। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফলিত রসায়ন ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. মো: নুরনবী। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসটিআই মহাপরিচালক মো: আবদুস সাত্তার এবং বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) লোকমান হোসেন মিয়া।
সেমিনারে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানি এবং কসমেটিকস কোম্পানির প্রতিনিধিরা প্রস্তাবিত, ওষুধ ও কসমেটিকস আইন-২০২৩ একত্রিত না করে পৃথকভাবে প্রণয়ন করার দাবি জানান। পাশাপাশি প্রস্তাবিত আইনটি পাস করার আগে যেন সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় সেই দাবি জানান।বাসস