মা নামটি শুনলেই মনের ভেতর আনন্দের জোয়ার বয়ে যায়। এই পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে আমাদের আপন হচ্ছে মা। মা মারা গেলে মায়ের যে ভালোবাসা, সেই ভালোবাসা আর কাউকে দিয়ে পূরণ হয়না। মৃত্যু যন্ত্রনা যত না কঠিন তার চেয়েও কঠিন হচ্ছে মা হারানো বেদনা।
পৃথিবীটা অনেক কঠিন সবাই সবাইকে ছেড়ে চলে যায়। সবাই সবাইকে ভুলে যায়। কিন্তু মায়ের ভালোবাসা আজীবন রয়ে যায়।জীবনে মা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বোঝাতে ও বর্ণনা করার মত শব্দ এবং বুদ্ধি আমার কাছে নেই।মা যেন একটা সৌন্দর্য, মুক্তি, অধিকার ও সম্মানের প্রতীক। মা সন্তানের ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখার উৎস, সবচেয়ে আপন। মাকে ঘিরে থাকা অজস্ত্র স্মৃতিতে মনের ভিতর সৃষ্টি হওয়া অনুভূতির কাছে আকাশ সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে, সমুদ্রও হেরে যায়। মার অকৃত্রিম, নিঃস্বার্থ ভালোবাসা মুগ্ধ করে, মনে প্রশান্তি আনে। মা মানসিক প্রশান্তির অসাধারণ উৎস।প্রতিটি সন্তানের কাছেই তার মা অদ্বিতীয়। মা উচ্চারণের সাথে সাথেই সন্তানের মনের ভিতর এক অন্যরকম অনুভূতির সৃষ্টি হয়। যে অনুভুতি মায়ের সাথে সন্তানের মনের বিনি সূতার মালা সৃষ্টি করে। জন্মের পর প্রথম আমরা কেউ আকাশ দেখিনি, মাকেই দেখেছি। পৃথিবীতে আর কাউকেই এত কষ্ট দেয়নি, যত কষ্ট মাকে দিয়েছি।যখন সন্তানের মুখে অর্থপূর্ণ কোনো ভাষা থাকে না, তখনও মা বুঝেন তার প্রয়োজন-চাহিদা। সন্তানের বলার আগেই যিনি নিজের সবটুকু উজার করে দিতে প্রস্তুত থাকেন তিনি মা। মা ছাড়া আর কেউ অমন করে সন্তানকে নিয়ে ভাবে না। তাইতো মায়ের ভালোবাসার কাছে জগতটাকেই তুচ্ছ মনে হয়। সন্তানের সুখেই মায়ের অন্তহীন সুখ, সন্তানের হাসিমুখ ভুলায় মা’র দু:খ। সন্তানের পাশে শুয়ে মাথায় হাত বুলানো, স্বপ্ন আশা ভরে বুকে জড়ানোতো মায়েরই কাজ।
মমতাময়ী নয়ন সদা খুঁজে ফিরে, তার প্রিয় সন্তান কখন বাড়ি ফেরে।মা তুমি আমাদের মাঝে নেই ভাবতে বড় কষ্ট লাগে। তোমার সন্তানের জন্য দোয়া কর্ মা। ওপারে ভালো থেকো প্রিয় মা।