পদ্মা সেতুর প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আমাদের অপমান করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শনিবার দুপুরে মাদারীপুরের শিবচরে আওয়ামী লীগের জনসভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই বাংলাদেশের মানুষের জন্য আমার বাবা জীবন দিয়ে গেছেন। জীবন দিয়ে গেছেন আমার মা-ভাইয়েরা। আমি ও আমার ছোট বোন বেঁচে আছি। এই পদ্মা সেতু করতে গিয়ে আমাদের অনেক অসম্মান করার চেষ্টা করা হয়েছে। অনেক অপমান করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের উপদেষ্টা আবুল হোসেন, সচিব মোশারফ, উপদেষ্টা মশিউর রহমান, মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাদেরকে অপমান করা হয়েছে।’
‘আমার ছেলে-মেয়ে জয়-পুতুল, রেহানার ছেলে ববিসহ কত মানসিক যন্ত্রণা তারা দিয়েছে। কিন্তু, আমরা পিছু হটি নাই। আমাদের একটাই লক্ষ্য ছিল। আমরা এই সেতু নির্মাণ করব। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন আমরা করব। আমরা সেটা করেছি’, যোগ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সেই সাহস দিয়েছেন আপনারা, শক্তি দিয়েছেন আপনারা। আমি আপনাদের পাশে আছি।’
শনিবার সকাল ১০টা ৫ মিনিটে ‘মাথা নোয়াবার নয়’ থিম সং পরিবেশনের মধ্য দিয়ে বহুল প্রত্যাশিত ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
এর আগে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সকাল ৯ টা ৫৫ মিনিটে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় সমাবেশস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বেলা ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া পয়েন্টে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘোষণা করেন। উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচন করে মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন সরকারের মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাসহ মোট সাড়ে তিন হাজারের মতো অতিথি।
২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সেতুর নির্মান কাজে ৩৭ এবং ৩৮ নম্বর পিলারে প্রথম স্প্যান বসানোর মাধ্যমে পদ্মা সেতুর অংশ দৃশ্যমান হয়। পরে একের পর এক ৪২টি পিলারের ওপর বসানো হয় ৪১টি স্প্যান। ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর শেষ ৪১তম স্প্যান স্থাপনের মাধ্যমে বহুমুখী ৬.১৫ কিলোমিটার পদ্মা সেতুর সম্পূর্ণ কাঠামো দৃশ্যমান হয়ে ওঠে।