বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। তবে কোন মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুর থানাধীন শহীদবাগ এলাকার ঢাকা ব্যাংকের শাখা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মিডিয়া কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার।
এর আগে তিনি জানান, বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করতে শাহজাহানপুরের পাশে শহীদবাগ মসজিদ গলি ঘিরে ফেলেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ বলেন, গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের নামে সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনায় দায়ের করা বেশ কয়েকটি মামলার আসামি মির্জা আব্বাস ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। আগামীকাল তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।
২০০৭ সালের দুর্নীতি মামলায় আজ মঙ্গলবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সময় আবেদন খারিজ করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ঢাকার একটি আদালত।অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) সম্পদের মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছিল।
আজ মঙ্গলবার এ মামলার সাফাই সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে আসামি মির্জা আব্বাস ও সাফাই সাক্ষীরা আদালতে উপস্থিত না হয়ে সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন না মঞ্জুর করে মির্জা আব্বাসের জামিন বাতিল করেন। একই সঙ্গে এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সংগতিবিহীন ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট দুদকের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম রাজধানীর রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তদন্তে তার বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
২০০৮ সালের ১৬ জুন আদালত এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এ মামলার বিচার চলাকালে আদালত ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।