আজ ২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার মীনা দিবস-২০২২। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘নিরাপদ ও আনন্দময় পরিবেশে মানসম্মত শিক্ষা’।
সরকার, এনজিও ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের সহযোগিতায় ‘ইউনিসেফ’ ঘোষিত দিবসটি সাড়ম্বরে উদ্যাপন করে থাকে। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা ও পূর্ব-এশিয়ার দেশসমূহে দিবসটি উদ্যাপিত হয়।
বিদ্যালয়ে যেতে সক্ষম শতভাগ শিশুর বিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিতকরণ এবং ঝরে পড়া রোধকল্পে অঙ্গীকার নিয়ে বিশ্বে পালিত হয় ইউনিসেফের ঘোষিত দিবসটি।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এ উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে-ঢাকা পিটিআইতে (মিরপুর-১৩)- সকাল ৯টায় আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন প্রধান অতিথি এবং মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। সভাপতিত্ব করবেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত।
এ ছাড়া দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে-গল্প বলার আসর, বিশেষ ব্যক্তিত্বগণ শিশুদের উদ্দেশে প্রেরণামূলক বক্তব্য প্রদান, পাপেট শো ও মাপেট শো, স্টল প্রদর্শনী, রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন, যেমন খুশি তেমন সাজো ও মীনা বিষয়ক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় কর্মসূচির সঙ্গে মিল রেখে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।
মীনা একটি উচ্ছল, প্রাণবন্ত ও সাহসী মেয়ের নাম। মীনা কার্টুন চরিত্রে মীনার বয়স নয় বছর। এই কার্টুনের আরও দু’টি চরিত্রের নাম মিনার ভাই রাজু আর পোষা পাখি মিঠু।
লিঙ্গবৈষম্য রোধ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সচেতনতা ও শিশু নিরাপত্তার গুরুত্ব নিয়ে মিনা কার্টুনের গল্পগুলো তৈরি করা হয়। কার্টুনটি বাংলা, ইংরেজি, উর্দু, হিন্দি ও নেপালি ভাষায় সম্প্রচার করা হয়েছে। কার্টুন ছাড়াও কমিক বই ও রেডিও অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয়েছে। এর স্রষ্টা বাংলাদেশের বিখ্যাত চিত্রশিল্পী মোস্তফা মনোয়ার। এই কার্টুনটির সূচনা সংগীতটিও শিশুদের কাছে খুব প্রিয়। বাংলাদেশে ইউনিসেফের বড় অর্জন গুলির একটি ‘মীনা’।