মোঃ মনির হোসেন।
চাঁদপুরে মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫ ডিসেম্বর সোমবার বেলা ১১টায় চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়াম মাঠে আয়োজিত ৩১ তম বিজয় মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে আজ বাংলাদেশের এতো উন্নয়ন ও অগ্রগতি। কিন্তু দেশের যারা গুজব ছড়াচ্ছে, দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে এবং আবার নাশকতা করার পাঁয়তারা করছে, তাদের রুখে দিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, আজ আমরা বিজয়মেলা মঞ্চ থেকে সেই প্রত্যয় ঘোষণা করতে চাই, যে লক্ষ্য নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, ৩০ লাখ মানুষ অকাতরে প্রাণ দিলেন, এতো নারী নির্যাতিত হলেন এবং দেশটা ধ্বংস্তূপে পরিণত হলো, সেই লক্ষ্য অর্জনের পথ থেকে আমরা কখনো বিচ্যুত হবো না।
দীপু মনি বলেন, যার নেতৃত্বে দেশ পরিচালিত হচ্ছে, যিনি মায়ের মমতায় দেশটি পরিচালনা করছেন, যার মনের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা, এদেশের প্রতিটি মানুষের প্রতি ভালোবাসা, যিনি দারিদ্র্য বিমোচনে বিশ্বের সফল একজন রাষ্ট্রনায়ক, যিনি মানুষের এবং নারীর ক্ষমতায়নে, শিক্ষায় ও স্বাস্থ্যের অগ্রগতিতে, শিল্পায়নে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে, দুর্যোগ মোকাবিলায়, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন মোকাবিলায় বিশ্বের সফলতম একজন রাষ্ট্রনায়ক। তার হাতে আছে দেশ। অতএব আমাদের ভয়ের কিছু নেই।
তিনি বলেন, আমাদের অতীতের গৌরবগাথা যেমন মনে রাখব, তেমনি অতীতে কার কী অপকর্ম ছিল, তাও যেন আমরা মনে রাখি। কোন অপশক্তি বার বার আমাদের পিছু টেনে ধরেছে, কারা আমাদের অগ্রগতিকে বার বার বাঁধাগ্রস্ত করে, কারা আমাদের মানুষের ওপর অত্যাচার নির্যাতন করেছে, তাদের চিনতে হবে এবং জানতে হবে। তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজনে তাদের রুখে দিতে হবে এবং আমাদের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে এগিয়ে নিতে হবে।
বিজয় মেলা কমিটির চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব হারুন আল রশিদের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওচমান গণি পাটওয়ারী, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন।চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার হাফিজ খান বলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়েই আমাদের বাঁচতে হবে।
এর আগে স্থানীয় শিল্পীদের শত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রীসহ অতিথিরা জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পতাকা উত্তোলন করেন। পরে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে মেলার সূচনা করেন তারা। সবশেষ মন্ত্রী অতিথিদের নিয়ে মেলায় স্থান পাওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংরক্ষিত স্মৃতি পরিদর্শন করেন।