ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। কোনো লুকাছাপা ছাড়াই একে অন্যের প্রতি বিষোদ্গার করে যাচ্ছে দুই দেশ।
অন্যদিকে সম্প্রতি মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে চীনের সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না।
এসব কিছুর পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মুখ দেখাদেখিও বন্ধ।
তবে চলতি বছরের নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অনুষ্ঠিতব্য জি২০ সম্মেলেনে এই তিন নেতার মুখোমুখি হওয়ার একটি সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং জি-২০ সামিটে যোগ দিতে ইন্দোনেশিয়া আসবেন বলে জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো।
পুতিন-জিংপিংয়ের আসার ব্যাপারে সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গকে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেছেন, শি জিংপিং আসবেন। প্রেসিডেন্ট পুতিনও বলেছেন তিনি আসবেন।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এতে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে তিনি পুতিনের সঙ্গে দেখা করবেন কি না তা স্পষ্ট নয় বলে বিবিসি শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
যদিও বিবিসি জানিয়েছে, সম্মেলন শুরুর আগে বা সম্মেলনের এক ফাঁকে বাইডেন হয়তো পুতিন ও জিনপিংয়ের সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎ করতে পারেন বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
তবে পুতিনকে আসন্ন এ সম্মেলন থেকে বাদ দেওয়ার জন্য ইন্দোনেশিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগ করছে পশ্চিমা দেশগুলো।
যদিও পুতিনকে আমন্ত্রিত অতিথির তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়টিতে রাজি হননি জোকো উইদোদো। এর বদলে রাশিয়া এবং ইউক্রেন দুই দেশেরই সফর করে দুই দেশের প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানিয়ে আসেন তিনি।
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেনের দুই দেশের প্রেসিডেন্ট ইন্দোনেশিয়াকে ‘শান্তির পথ’ হিসেবে দেখে।