গত কয়েক দিন ঢাকার আকাশ মেঘলা ছিল, হয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি। আজ সকাল থেকেই রোদের দেখা মিলেছিল। কিন্তু বিকেলের দিকে হঠাৎই রূপ পাল্টে ফেলে ঢাকার আকাশ। আচমকাই অঝোরে ঝরেছে বৃষ্টি, যার মাত্রাও ছিল বেশ। আর এই কিছুক্ষণের বিরতিহীন বৃষ্টিতে ডুবেছে ঢাকার বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলি।
বুধবারের (৯ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীতে শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি, যা চলে টানা সাড়া ৫টা পর্যন্ত। এরপর বৃষ্টির তীব্রতা কমেছে। এরপর অবশ্য ঝিরিঝিরি বৃষ্টি এখনও ঝরছে। আনুমানিক দেড় ঘণ্টার বৃষ্টিতে ডুবেছে রাজধানীর বিভিন্ন প্রধান সড়ক ও অলিগলিসহ পাড়া-মহল্লার কিছু কিছু অংশ।
মালিবাগ, শান্তিনগর, সায়েদাবাদ, শনির আখড়া, পুরান ঢাকা, বংশাল, নাজিমুদ্দিন রোড, ধানমন্ডি, মিরপুর-১৩, হাতিরঝিলের কিছু অংশ, আগারগাঁও থেকে জাহাঙ্গীর গেট যেতে নতুন রাস্তা, খামারবাড়ি থেকে ফার্মগেট, ফার্মগেট-তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা, মোহাম্মদপুরের কিছু অংশ, মেরুল বাড্ডা, ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকা, গুলশান লেকপাড় এলাকার সংযোগ সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
হঠাৎ বৃষ্টিতে রাজধানীতেও বেড়েছে যানজট। বিকেলের এ সময় এমনিতেই সড়কে গাড়ির চাপ বেশি থাকে, তার মধ্যে বৃষ্টি যানজটের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সড়কের অধিকাংশ জায়গায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
এর ফলে বিড়ম্বনায় পড়েছেন ঘরেফেরা মানুষ। অফিস থেকে বের হতে গিয়ে কেউ কেউ আটকে পড়েছেন, কেউবা রাস্তায় বেরিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন। এ সময় অনেককেই বৃষ্টিতে ভিজে গন্তব্যে ফিরতে দেখা গেছে।
এদিকে আবহাওয়া অফিস বলছে, বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ দেশের কয়েকটি জেলায় তীব্র ঝড়ের হতে পাবে আশঙ্কার কথাও জানিয়েছে।
এছাড়া বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।