রাজধানীর প্রধান বা মূল সড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচলের কোনো অনুমতি নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান। তিনি বলেছেন, নির্দিষ্ট কিছু ছোট ছোট রাস্তায় চালানো যাবে। আমরা ট্রাফিক পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে তাদের সচেতন করছি। পাশাপাশি অটোরিকশাসহ স্বল্পগতির যানবাহন চলাচলের জন্য রাস্তা নির্ধারণের কাজ চলছে।
শনিবার মিন্টু রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ট্রাফিক নির্দেশনা নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কোটা আন্দোলন, রথযাত্রা, আশুরাসহ সবকিছু মিলিয়ে আগামী সপ্তাহের চ্যালেঞ্জগুলো সামনে রেখে জনভোগান্তি কমাতে ট্রাফিক বিভাগ কাজ করছে।
ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের এ কর্মকর্তা বলেন, অটোরিকশা চালকদের মধ্যে রাস্তায় ওঠা নিয়ে একটা ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টি হয়েছে। তবে প্রধান রাস্তায় তাদের চলাচলের কোনো ধরনের অনুমতি নেই। তবে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নির্দিষ্ট কিছু ছোট রাস্তায় চালানো যাবে। মূল সড়কে কখনোই যাবে না। আমরা ট্রাফিক পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে তাদের সচেতন করছি। পাশাপাশি অটোরিকশাসহ স্বল্প গতির যানবাহন চলাচলের জন্য রাস্তা নির্ধারণের কাজ চলছে। বিশেষ করে রাজধানীর মূল সড়কে স্বল্প গতির কোনো যানবাহন চলবে না। সেজন্য পুলিশের অন্য ইউনিটের সঙ্গে সমন্বয় ও আইন প্রয়োগের মাধ্যমে কাজ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ট্রাফিক বিভাগ কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে বা অন্য স্টেকহোল্ডারদের মাধ্যমে চালকদের শোধরানো বা সচেতনতার চেষ্টা করছে। বিশেষ করে ছোট ছোট রাস্তা বা বড় রোড নয়, এরকম কিছু সড়ক আমরা নির্ধারণ করার প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছি। এরইমধ্যে ধানমন্ডির বেশ কিছু সড়ক নির্ধারণ করে দিয়েছি। অন্যদিকে মিরপুর রোডে, ভিআইপি সড়কে, প্রগতি সরণি সড়কে অটোরিকশা বা ব্যাটারিচালিত কোনো যানবাহন বা কম গতির যানবাহন চলবে না।
মেহেদী হাসান বলেন, বর্তমানে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। এই সপ্তাহে তিনটি পরীক্ষা আছে। পাশাপাশি আগামীকাল (রোববার) সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস। এছাড়াও ১৫ তারিখ উল্টো রথযাত্রা আছে। পাশাপাশি ১৭ তারিখে পবিত্র আশুরা। এদিন তাজিয়া মিছিল আছে। এই সময়টাতে যানজট বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। পাশাপাশি কোটা সংস্কার আন্দোলনও চলছে। সবকিছু মিলিয়ে আগামী সপ্তাহের চ্যালেঞ্জগুলো সামনে রেখে জনভোগান্তি কমাতে ট্রাফিক বিভাগ পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করছে।
কোটা আন্দোলনে ভোগান্তি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ট্রাফিক বিভাগের সদস্যরা ৮টি ডিভিশনের ভেতরে সমন্বয় করেন। পাশাপাশি ক্রাইম বিভাগের সঙ্গে একযোগে কাজ করেন। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়। তবে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টে বড় চ্যালেঞ্জ।
মেহেদী হাসান বলেন, অধিকাংশ জায়গায় আমরা ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত করেছি। উচ্ছেদের পরও কিছু কিছু জায়গায় আবারও ফুটপাত দখল করে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি করেছে। সেসব ফুটপাত দখলমুক্ত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মতিঝিলে সড়ক ভাড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেসব সড়ক কম ব্যবহৃত হয়, সিটি করপোরেশন সেগুলো পার্কিংয়ের জন্য অফিস টাইমে ভাড়া দেয়। নিউ মার্কেটে পুরো এলাকা হকার ও অবৈধ পার্কিংমুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া যাত্রাবাড়ী এবং বেইলি রোডও হকার ও অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়েছে।