মেক্সিকোর স্বাধীনতার পর ২০০ বছরে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ক্লডিয়া শেনবাউম (৬১)। এ ঘটনার মধ্যদিয়ে যুগান্তকারী পরিবর্তন দেখা গেল উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে। প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, নির্বাচনে ৫৮ থেকে ৬০ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন ক্ষমতাসীন মরেনা পার্টির প্রার্থী ক্লডিয়া শেনবাউম। নির্বাচনে তিনি প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জোসিটল গালভেচুভ গালভেজের থেকে ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন।
আগামী ১ অক্টোবর থেকে শেনবাউম প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব পালন করবেন এবং এই ক্ষমতায় ৬ বছর বহাল থাকবেন তিনি। সোমবার মেক্সিকোর সরকারি নির্বাচনি কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিবিসি।
গণতান্ত্রিক মেক্সিকোর ইতিহাসে এটাই কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর সর্বোচ্চ ভোটে জয়লাভ। জয় নিশ্চিত হওয়ার পর সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে শিনবাউম বলেন, ‘আমাদের গণতন্ত্রের ২০০ বছরের ইতিহাসে আমিই প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হতে চলেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি আপনাদের হারতে দেব না।’
এ সময় শিনবাউমের সমর্থকরা ‘প্রেসিডেন্ট’ ‘প্রেসিডেন্ট’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। এর আগে সহিংসতা ও প্রাণহানির মধ্য দিয়ে মেক্সিকোতে পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছিল। ভোটের আগে জনমত জরিপগুলোয় শিনবাউম তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জোসিটল গালভেজের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে ছিলেন। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে ক্লডিয়ার পরামর্শদাতা ওব্রাডরের জনপ্রিয়তা তার (ক্লডিয়া শিনবাউম) জয়ের পেছনেও ভূমিকা রেখেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ক্লডিয়া শেনবাউম একজন সাবেক বিজ্ঞানী, যিনি ২০১৮-২৩ সাল পর্যন্ত মেক্সিকো সিটির মেয়র হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিদায়ী প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডরের ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী।
সমর্থকদের প্রত্যাশা, প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডরের যোগ্য উত্তরসূরি পেতে যাচ্ছে মেক্সিকো। এরই মধ্যে ক্লডিয়া দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তার এই জয় মূলত মেক্সিকোয় এক নতুন ইতিহাসই তৈরি করল। কারণ, যে দেশটি পুরুষতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী, সেই দেশই এই প্রথম একজন নারীকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে বেছে নিল।