মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার ইতিহাসে এ বছর রেকর্ডসংখ্যক ভর্তিচ্ছু অংশ নিচ্ছেন। এ বছরের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের আবেদনের পরিসংখ্যান অনুসারে ভর্তি যোগ্য প্রতিটি আসনের বিপরীতে মোট ৩৩ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেলে ভর্তির জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে আগামী ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য এমবিবিএস (২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের) প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় মোট এক লাখ ৪৩ হাজার ৭৩০ জন শিক্ষার্থী মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন। সারাদেশে সরকারি মেডিকেল কলেজে মোট আসন সংখ্যা ৪ হাজার ৩৫০টি।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে অনলাইনে আবেদনপত্র গ্রহণ শুরু হয়। ১৫ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ ও ১৬ মার্চ পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার ফি’র টাকা জমা নেওয়া হয়।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন শাখা) পরিচালক অধ্যাপক ডা. আহসান হাবিব জানান, ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে প্রস্তুতি এগিয়ে চলেছে। এরইমধ্যে সারাদেশে মেডিকেল ভর্তি কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশনা জারি হয়েছে।
বুধবার (১৬ মার্চ) ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে সহায়তা করতে বলা হয়। মেডিকেল ভর্তি সংক্রান্ত কমিটি সার্বিক বিষয়ে দেখভাল করছে।
অধ্যাপক ডা. আহসান হাবিব জানান, পরিচালক হিসেবে এ নিয়ে তিনি তিনবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জানা গেছে, সারাদেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৫৭টি ভেন্যুতে এ বছর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছর রাজধানীসহ সারাদেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৫৫টি ভেন্যুতে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের (২০২০-২১) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন গতবছর করেন এক লাখ ২২ হাজার ৮৭৪ জন। তবে পরীক্ষায় অংশ নেন এক লাখ ১৬ হাজার ৮৫৬ জন।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে সরকারি ও বেসরকারি মোট ১০৭টি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। এতে মোট আসনসংখ্যা ১০ হাজার ৬৯৭টি। তার মধ্যে ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৪ হাজার ৩৫০টি এবং বেসরকারি ৭০টি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৬ হাজার ৩৪৭টি।
মেডিকেল ভর্তি বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুসারে, গত বছরের মতো এবারও ১০০ নম্বরের ১০০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। প্রতিটির প্রশ্নের মান ১। এমসিকিউ পরীক্ষা হবে ১ ঘণ্টায়। পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যায় ২০, রসায়নে ২৫, জীববিজ্ঞানে ৩০, ইংরেজিতে ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ১০ নম্বর (মোট ১০০) থাকবে।
লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে। লিখিত পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ন্যূনতম ৪০ পেতে হবে। এর কম পেলে অকৃতকার্য বলে বিবেচিত হবেন। কেবল কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মেধাতালিকাসহ ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ মোট ২০০ নম্বর হিসেবে নির্ধারণ করে মূল্যায়ন করা হবে। লিখিত পরীক্ষার ভিত্তিতে মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হবে।