Thursday , 25 April 2024
শিরোনাম

মেধা বিকাশে বিতর্ক প্রতিযোগিতা বিশেষ ভূমিকা রাখছে : তথ্যমন্ত্রী

জাতীয় টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতা বাংলাদেশ টেলিভিশনের ঐতিহ্যবাহী ও জনপ্রিয় অনুষ্ঠান। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে বাংলাদেশ টেলিভিশন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বাংলা ও ইংরেজি বিতর্ক আয়োজন ও প্রচার করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালের জানুয়ারিতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ৬৪ দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়।

চূড়ান্ত পর্বে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কবি সুফিয়া কামাল হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করে। এ পর্বের বিষয় ছিল ‘শিশুর প্রতিভা বিকাশে রাষ্ট্রের চেয়ে পরিবারের ভূমিকা অধিক’। অংশগ্রহণকারী দল দুটির মধ্যে বিজয়ী হয়েছে কবি সুফিয়া কামাল হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

গতকাল ২৮ মার্চ বিকালে বিটিভির ঢাকা কেন্দ্রের শহীদ মনিরুল আলম মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিতার্কিকদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও সভাপতি ছিলেন বিটিভির মহাপরিচালক ড. সৈয়দা তাসমিনা আহমেদ। এ অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিককে সম্মাননা স্বারক তুলে দেন বিটিভির ঢাকা কেন্দ্রের জিএম মাহফুজা আক্তার এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে সম্মাননা স্বারক তুলে দেন বিটিভির মহাপরিচালক ড. সৈয়দা তাসমিনা আহমেদ।

এরপর সভাপতির বক্তব্যে মহাপরিচালক বলেন, ‘দেশে বিতর্ক প্রতিযোগিতার সুতিকাগার হলো বাংলাদেশ টেলিভিশন। সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মেধাবী তরুণদের মেধা বিকাশের প্লাটফর্ম হলো বিটিভির এই বিতর্ক প্রতিযোগিতা। স্মার্ট বাংলাদেশের প্রাণশক্তি হবে যুক্তি-তর্কের তলোয়ারে শানিত স্মার্ট তরুণরাই।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘সভ্য সমাজে আজকের যুগে বহু সংকট দেখা দেবে, সমস্যা দেখা দেবে তবে সমাধানের পথ একটি। সেটি হচ্ছে তর্ক করা-বিতর্ক করা, যুক্তি দেয়া-যুক্তি খন্ডন করা। এটি সভ্য সমাজের সভ্যতার একটি প্রতীক। তাই আমরা চাইবো আমাদের নতুন প্রজন্মকে আরো গুরুত্ব দিয়ে বিতর্কের সঙ্গে যুক্ত করতে।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন করার জন্য আমি বাংলাদেশ টেলিভিশনকে ধন্যবাদ জানাই। আমিও ছাত্রজীবনে বিটিভির বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছি। আজ সেই মিলনায়তনে বিতার্কিকদের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়ে ভীষণ ভালো লাগছে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা যেভাবে যুক্তি-তর্কের মাধ্যমে তাদের মেধার স্বাক্ষর রাখছে, আমি নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করি তাদের মেধা বিকাশে এই প্রতিযোগিতা বিশেষ গুরুত্ব বহন করবে। ভবিষ্যতে তাদের জীবন গড়ার ক্ষেত্রে, জীবনের বৈতরনী পাড়ি দেয়ার ক্ষেত্রে এই বিতর্ক প্রতিযোগিতা সহায়ক অনুসঙ্গ হিসেবে কাজ করবে।’

Check Also

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কাতারের আমির

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বাংলাদেশ সফররত কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x