নারী ফুটবলারদের সাফ জয়ের পর প্রত্যাশার চাপ তো ছিলই। তারওপর র্যাংকিংয়ে তারা ১৮ ধাপ এগিয়ে। তবু ম্যাচের আগে সেসব পাত্তা দেননি অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। খেলার দিকেই মনযোগ ছিল বাংলাদেশের। আর তাতে মেয়েদের পর এবার ছেলেরাও সুখবর দিলো ফুটবলে। স্বাগতিকদেরকে ঘরের মাঠে ১-০ গোলে হারিয়েছে লাল-সবুজরা।
খেলার ২৩ মিনিটে বাংলাদেশকে উৎসবে ভাসান রাকিব। মতিন মিয়ার দারুণ এক পাস থেকে রাকিব হোসেন বক্সে ঢুকে দেখেশুনে ডান পায়ের জোরালো শটে কম্বোডিয়ার গোলকিপারকে পরাস্ত করেন। তাতে লিড পায় বাংলাদেশ। তবে সেই ব্যবধান আর বাড়াতে পারেননি জামাল ভূঁইয়ারা।
ম্যাচের শুরু থেকে বাংলাদেশ সাবধানি ফুটবল খেলতে থাকে। ৪-১-৪-১ ছকে নিজেদের রক্ষণ সামলে আক্রমণে উঠার চেষ্টা করেছে। তাতে ১৪ মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েও বাংলাদেশ কাজে লাগাতে পারেনি। বিশ্বনাথ ঘোষের লম্বা থ্রো-ইন থেকে জামাল ভূঁইয়ার প্লেসিং লক্ষ্যে থাকেনি। অল্পের জন্য বাইরে দিয়ে গেছে।
বিপরীতে স্বাগতিক কম্বোডিয়া রানিং ও স্কিলে কিছুটা এগিয়ে থেকেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি। ১৯ মিনিটে সুযোগ পায় যদিও। কিন্তু বক্সের প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে সিন কাকাডার ডান পায়ের বুলেট গতির শট গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো এক হাত দিয়ে কোনও মতে ফিস্ট করে দলকে রক্ষা করেছেন।
একাধিক সুযোগও পেয়েছিলেন তারা। শুরুতে ১৪ মিনিটে বাংলাদেশ গোলের সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেনি। বিশ্বনাথ ঘোষের লম্বা থ্রো-ইন থেকে জামাল ভূঁইয়ার প্লেসিং লক্ষ্যে থাকেনি। অল্পের জন্য বাইরে দিয়ে গেছে।
৯ মিনিটের পর ১৯ মিনিটে কম্বোডিয়া আবারও সুযোগ পায়। বক্সের প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে সিন কাকাডার ডান পায়ের বুলেট গতির শট গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো এক হাত দিয়ে কোনও মতে ফিস্ট করে দলকে রক্ষা করেছেন। অপর প্রান্তে কম্বোডিয়াও বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেছিল। কিন্তু অফসাইডের কারণে একাধিক সুযোগ নষ্ট হয়েছে। এছাড়া গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোও দারুণভাবে কয়েকবার সেগুলো প্রতিহত করেছেন।
বিরতির পরও খারাপ খেলেনি বাংলাদেশ। একাদশে এনেছে কয়েকটি পরিবর্তন। রিমন হোসেন-সাজ্জাদ হোসেনরা মাঠে নেমেছেন। অভিষেক হয় মিডফিল্ডার সোহেল রানারও। এই অর্ধেও রক্ষণ জমাট রেখে খেলেছে বাংলাদেশ। সুযোগ বুঝে আক্রমণেও গেছে। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে মতিন মিয়ার ডান পায়ের জোরালো শট ক্রস বারে লেগে ফিরে আসলে ব্যবধান আর বাড়েনি।
কম্বোডিয়া কয়েকবার জিকোর পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করলেও সফল হয়নি। রাকিবের গোলটিই পরে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছে।
অথচ নমপেনের মরোদোক টেকো জাতীয় স্টেডিয়ামে র্যাংকিংয়ে এগিয়েছিল স্বাগতিকরাই। ১৭৪তম স্থানে আছে কম্বোডিয়া। বাংলাদেশের অবস্থান ১৯২তম। এই ম্যাচে জিতে র্যাংকিং বাড়িয়ে নিতে চেয়েছিলেন কোচ কাবরেরা। অবশেষে সেটি সম্ভব হতে চলেছে।