বিএনপির আমলে দেশের সর্বস্তরের মানুষ অত্যাচারিত, নির্যাতিত ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি মানুষকে যে নির্যাতন করেছে, সেগুলো কী মানুষ ভুলে যাবে এত তাড়াতাড়ি? এসব কেনো করেছিল এসবের জবাব আমি চাই বিএনপির কাছে। যাতের হাতে রক্তের দাগ তারা কোন গণতন্ত্র দেবে?
বিএনপি কোন গণতন্ত্র উদ্ধার করতে চায়? এমন প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগকে সরানোই নাকি বিএনপির একদফা আন্দোলন। দেশবাসীর কাছে আমার প্রশ্ন, কী অপরাধ আওয়ামী লীগের?
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন তিনি।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার দল তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়, নির্বাচন করতে চায়, গণতন্ত্র উদ্ধার করতে চায়? দেশবাসীকে বলবো, গণতন্ত্রের নামে দেশটাকে বিএনপি কী দিয়েছিল?
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আজকে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। খালেদা জিয়াসহ বিএনপির সব নেতাদেরই আমার প্রশ্ন, সংসদীয় গণতন্ত্র চেয়েছিলাম আমরা। সেটা তো তারাই চায়নি। এখন কী বলবে তারা? তখন খালেদা জিয়া বলেছিল যে, পাগল আর শিশু ছাড়া কেউই নিরপেক্ষ না। বিএনপির নেতাদের বলছি, তারা কী সেই পাগল আর শিশু কী খুঁজে পেয়েছে?
শেখ হাসিনা বলেন, একসময় যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাইলোই না, এখন তারাই এটা নিয়ে লাফাচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, প্রত্যেকটা খাতকে কেনো তারা পিছিয়ে নিয়েছিল, এর জবাব কী বিএনপি দেবে?
তিনি বলেন, তারা ক্ষমতায় থেকে শুধু লুটপাট করেছে, দেশের মানুষকে কিছু দেয়নি। লুটপাট ছাড়া তারা এতো টাকা কোথায় পেলো। এসবের জবাব মানুষের কাছে তাদেরকে দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশকে আবারও অন্ধকারে এবং পেছনে টেনে নিয়ে যাবে৷ দেশবাসীকে বলবো, বিএনপিকে বিশ্বাস করবেন না৷
তিনি বলেন, ‘গ্যাস বিক্রির অঙ্গীকার করে সরকারে আসে বিএনপি। তবে দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় আসার লোভ নেই আওয়ামী লীগের।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির অত্যাচারের শিকার দেশের সর্বস্তরের মানুষ। যারা দুর্নীতি করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে তাদের মুখে এখন নীতির কথা শুনতে হয়। তবে বিএনপির মতো অত্যাচারের পথে হাঁটেনি আওয়ামী লীগ।’
এর আগে গত রোববার গণভবনে তৃণমূলের নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপরই কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।