মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ১৩ দেশের ৩৭ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ও মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণার ৭৫তম বার্ষিকীর প্রাক্কালে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলো দেশটি। তবে এই তালিকায় বাংলাদেশের কোনো ব্যক্তি নেই।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় (ডিপার্টমেন্ট অব দ্য ট্রেজারি) ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) সম্মিলিতভাবে এ স্যাংশন ও ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
এবারের মার্কিন স্যাংশন ও ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে চীন, রাশিয়া, ইরান, ইন্দোনেশিয়া, আফগানিস্তান, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, কঙ্গো, হাইতি, লাইবেরিয়া, দক্ষিণ সুদান ও সুদান, সিরিয়া, উগান্ডা ও জিম্বাবুয়ে।
এদের মধ্যে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের স্যাংশন আওতায় পড়েছেন ৯ দেশের ২০ ব্যক্তি। এই দেশ দেশ হচ্ছে- আফগানিস্তান, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, কঙ্গো, হাইতি, ইরান, লাইবেরিয়া, চীন, দক্ষিণ সুদান ও উগান্ডা।
আফগানিস্তানের মেয়েদের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার সুযোগ বন্ধ করার অভিযোগে দেশটির দুজন মন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় এসেছেন। আর ইরানের বাইরের সরকারবিরোধীদের ওপর সহিংসতার পরিকল্পনার অভিযোগে দুই ইরানি গোয়েন্দাকে নিষেধাজ্ঞার দেয়া হয়েছে। এছাড়া চীনের জিনজিয়ানে উইঘুর মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতনের ঘটনায় দেশটির দুই কর্মকর্তাও এসেছেন নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায়।
নিষেধাজ্ঞা পাওয়া এসব ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নাগরিকের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবে না। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তাদের কোনো অর্থ-সম্পদ ব্যবহারও করতে পারবে না তারা।
নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং মার্কিন অর্থব্যবস্থাকে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের থেকে নিরাপদ রাখার প্রতিশ্রুতি পূরণে যুক্তরাষ্ট্র কতটা অঙ্গীকারবদ্ধ, তা এই নিষেধাজ্ঞায় প্রতিফলিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় (ডিপার্টমেন্ট অব দ্য ট্রেজারি) বলছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সন্ত্রাসী সংগঠন, অপরাধমূলক কার্যকলাপ, এলজিবিটিকিউ প্লাস ব্যক্তিদের দমন, আন্তর্জাতিকভাবে দমন-পীড়ন, পরিবেশগত অপরাধ ও অবক্ষয়ের সাথে যুক্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোকে লক্ষ্য করে এ স্যাংশন আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।