ঢাকা , বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কাপ্তাইয়ে ভি ডব্লিউ বি কার্ড ধারীদের চাল বিতরণ অনুষ্ঠিত  খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে বৃদ্ধার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার মালয়েশিয়ার বুকিত বিনতাং এ ৩৭৭ জন বাংলাদেশিসহ ৭৭০ জনকে আটক করছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ ১৬ টি দল নিয়ে সৌদি আরবে প্রবাস বাংলা প্রিমিয়ার লিগ ১২ই সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাচ্ছে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ফুলকোর্টে শুনানি আজ এলপি গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ বিচারকদের নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব সুপ্রিম কোর্টের হাতে থাকবে: হাইকোর্ট নীলফামারী উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিকদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর সংঘর্ষ, নিহত ১ এখন থেকে পুলিশে এএসআই পদে সরাসরি নিয়োগ দ্রুত জুলাই গণহত্যার বিচার করতে বাড়ানো হতে পারে ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা: আইন উপদেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ

সাংবাদিক

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক চুক্তি চূড়ান্ত করতে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সর্বশেষ দুদেশের মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।

এতে বলা হয়, আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে দেশটির সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডন লিঞ্চ নেতৃত্ব দেন।

জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সম্মেলনের (ইউএনসিটিএডি) সাবেক বাণিজ্য নীতি প্রধান রহমান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আমাদের আলোচনায় খুব ভালো অগ্রগতি হয়েছে। উভয় পক্ষই চুক্তিটি দ্রুত চূড়ান্ত করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

জানা গেছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাড়তি ৩৭ শতাংশ শুল্ক থেকে রেহাই পেতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে সরকার। ইতোমধ্যে চুক্তির একটি খসড়া বাংলাদেশে পাঠিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। খসড়ার ওপর মতামত ওয়াশিংটনে পাঠিয়েছে ঢাকা। এর আলোকে বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) বৈঠকটি হয়। দরকষাকষির পর ২৯ জুন রোববার উভয় দেশের মধ্যে আরও একটি বৈঠকের পর চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে। এ চুক্তির আওতায় বাড়তি শুল্ক কমানো সম্ভব বলে মনে করছে সরকার।

২ এপ্রিল বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে বিভিন্ন দেশের ওপর পাল্টা শুল্কারোপ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাংলাদেশের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক ঘোষণা করা হয় ৩৭ শতাংশ। তবে ৯ এপ্রিল পাল্টা শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন প্রেসিডেন্ট। এর মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৮ জুলাই। যদিও সব দেশের ওপর ন্যূনতম ১০ শতাংশ বাড়তি শুল্ক কার্যকর করা হয়েছে।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৭:২৮:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
৫৭৪ Time View

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ

আপডেটের সময় : ০৭:২৮:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক চুক্তি চূড়ান্ত করতে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সর্বশেষ দুদেশের মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।

এতে বলা হয়, আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে দেশটির সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডন লিঞ্চ নেতৃত্ব দেন।

জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সম্মেলনের (ইউএনসিটিএডি) সাবেক বাণিজ্য নীতি প্রধান রহমান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আমাদের আলোচনায় খুব ভালো অগ্রগতি হয়েছে। উভয় পক্ষই চুক্তিটি দ্রুত চূড়ান্ত করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

জানা গেছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাড়তি ৩৭ শতাংশ শুল্ক থেকে রেহাই পেতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে সরকার। ইতোমধ্যে চুক্তির একটি খসড়া বাংলাদেশে পাঠিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। খসড়ার ওপর মতামত ওয়াশিংটনে পাঠিয়েছে ঢাকা। এর আলোকে বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) বৈঠকটি হয়। দরকষাকষির পর ২৯ জুন রোববার উভয় দেশের মধ্যে আরও একটি বৈঠকের পর চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে। এ চুক্তির আওতায় বাড়তি শুল্ক কমানো সম্ভব বলে মনে করছে সরকার।

২ এপ্রিল বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে বিভিন্ন দেশের ওপর পাল্টা শুল্কারোপ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাংলাদেশের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক ঘোষণা করা হয় ৩৭ শতাংশ। তবে ৯ এপ্রিল পাল্টা শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন প্রেসিডেন্ট। এর মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৮ জুলাই। যদিও সব দেশের ওপর ন্যূনতম ১০ শতাংশ বাড়তি শুল্ক কার্যকর করা হয়েছে।